ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বলেছেন, বাংলাদেশ সর্ব পর্যায়ে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি খুবই প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, “প্রতিবার এদেশ ভ্রমণের সময় আমি উন্নয়ন দেখেছি। বিশেষ করে গত এক দশকে বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক অগ্রগতি খুবই প্রশংসনীয়।”
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দশ দিনব্যাপী কর্মসূচীর অষ্টম দিনে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠনে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রওনক জাহানও বক্তৃতা করেন।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী আলোচনায় অংশ নেন। এতে পোপ ফ্রান্সিস এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর ভিডিও বার্তা দেখানো হয়।
সম্মানিত অতিথির ভাষণে লোটে শেরিং বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও বাংলাদেশ এই মহাদেশে অন্যতম উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশকে ‘সেকেন্ড হোম’ উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দু’টি খুবই বিশেষ ইভেন্ট উদযাপনে এসেছেন। এগুলো হচ্ছে- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর টিম ব্যাপক আকারে এবং বিপুল জনসংখ্যা সত্ত্বেও সুষ্ঠুভাবে কোভিড-১৯ মহামারি সামাল দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
লোটে শেরিং বলেন, এ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি। এ কারণে বছরটি আরো গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সূচিত ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরিতা নয়’ বাংলাদেশের এই কূটনৈতিক নীতির কথা উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাজা মনে করেন শান্তি ও মানবিকতা সাফল্যের চাবিকাঠি’।
এ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সুযোগ প্রদান এবং উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য তিনি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।