সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজ সরকারি করনের দাবি কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে ভূমিদস্যুরাই এখন বিচারহীন অপরাধী দুই এএসআই হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা কুষ্টিয়ায় নিজের গলাই ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধার আত্মহত্যা কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-মা ও মেয়ের মৃত্যু চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না বুক ফেটে যাচ্ছে ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় এক পরিবারের কাছে জিম্মি ৬শ মানুষ!

Reporter Name / ৪৩১ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১, ৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

ডন নিউজঃকুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলা কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকার এক পরিবারের কাছে প্রায় ৬শ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে এলাকার দুই জনপ্রতিনিধি একাধিক বার সামাজিক ভাবে বৈঠক করলেও কোন সুরাহা হয়নি। সোমবার বিকেলে বানিয়াপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে মানুষ । তারা নানা প্লাকাট নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা এই এলাকায় বসবাস করে আসছেন। এখানে একটি রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তার মুখে দুইটা বাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে একটি বাড়ি দুই হাতের মত জায়গা ছাড়লেও বানিয়াপাড়া এলাকার মৃত আক্কাস মালিথার ছেলে ছলিম মালিথা এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ । এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানে বসবাসরত প্রায় ৬শ মানুষ। তারা কেউ অসুস্থ হলে বাড়ি থেকে বের হয়ে হাসপাতালে আসার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। কেউ মারা গেলে খাটিয়া বের করা যায় না। এবিষয় নিয়ে একাধিক বার বৈঠক করলেও কোন সমাধান হয়নি। আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েও কোন লাভ হয়নি। বাড়ির মালিক বিভিন্ন সময় মস্তান নিয়ে এলাকার মানুষকে হুমকি দেয়। তার কাছে আমরা ৬শ মানুষ জিম্মি হয়ে রয়েছি। স্থানীয় ৭৬ বছর বয়সী জব্বার আলী বলেন, ৪০ বছরের বেশি সময় এখানে আমরা বসবাস করি। সকলেই রাস্তার জায়গা ছেড়েছে শুধু ছলিম মালিথা জায়গা ছাড়েনি। এবিষয়ে রশকার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি যে জায়গা ছেড়েছি সেই জায়গার উপর দিয়ে এলাকার মানুষ চলাচল করে। ছলিম মালিথা এক ইঞ্চি জমিও ছাড়েনি। তিনি আমার সমপরিমাণ জমি ছাড়লে এলাকার মানুষ স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারবে। তিনি পাকা বিল্ডিং করার সময় স্থানীয় মাতব্বর তাকে রাস্তার জায়গা ছেড়ে বাড়ি করতে বলেন। তিনি কারো কোন কথা শোনেনি। এবিষয়ে ছলিম মালিথার সাথে কথা বলে তিনি জানান, আমি মামলা করেছি। এটা কোর্টে মিমাংসা হবে। আপনি বিল্ডিং কোড মেনে বাড়ি নির্মাণ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এসব বুঝি না। এদিকে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণ করতে হলে সাড়ে ৩ কাঠার উপর জমি হলে রাস্তার দিকে ৫ফিট এবং অন্য পাশে ৩ ফিট জায়গা ছাড়তে হয়। এবিষয়ে কয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয় নিয়ে ওই এলাকার মাতব্বরদের নিয়ে বসেছি। একটি সমাধানে চেষ্টা চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর