ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার আড়ুয়াপাড়াতে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় বড় ভাই রবিউল ইসলাম, তার স্ত্রী নাজমা বেগম এবং তার মেয়ে মিমকে মারধর করেছে ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী লতা খাতুনের উপর অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার বিকাল ৩ টার সময় রবিউল ইসলামের বসত বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। সম্পর্কে তারা আপন দুই ভাই। বড় ভাই রবিউল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। বড় ভাই রবিউল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে চিকিৎসক এবং তার স্ত্রী ও মেয়ের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
আহত বড় ভাই ও তার অভিভাবকরা জানান অভিযোগ কারী রবিউল ইসলামের ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন। অভিযোগকারী রবিউল ইসলাম একজন প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার সাথে দুব্যবহার এবং অবহেলা করে তার ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী লতা খাতুন। বছর দুয়েক আগে কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া পলিটেকনি কেলের পিছনে বাসিন্দা মৃত সৈয়দ মোবিন ছেলে হেলাল উদ্দিন তারই বড় ভাই রবিউল ইসলামের কাছ থেকে নগদ দশ হাজার টাকা কর্জ নেন। পরবর্তীতে হেলাল উদ্দিন বলেন কজকৃত টাকা ফেরত না দিতে পারলে জমি প্রদান করবে বলে অঙ্গীকার করে। কিছুদিন পরে রবিউল ইসলামের অজান্তে হেলাল উদ্দিন অন্যের কাছে জমি বিক্রয় করে। পরে প্রতিবন্ধী রবিউল ইসলাম বিষয়টি জানতে পারলে তার ছোট ভাইয়ের কাছে কর্জকৃত টাকা ফেরত চাইলে হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী লতা খাতুন (৩৫) রাগান্বিত হয়ে প্রতিবন্ধী রবিউল ইসলাম ও তার পরিবার সদস্যদের উপর আক্রমন করে এলোপাতারিভাবে মারধর করে। মারধর করার কারণে তারা জখম প্রাপ্ত হয় বলে অভিযোগকারী জানান। অভিযোগকারীরা আরও জানান তাদের উপর আক্রমনে এগিয়ে আসে স্থানীয়রা। হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী লতা খাতুনের কাছ থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে তাদের অবস্থাজনক বলে চিকিৎসকরা জানান। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মৃত সৈয়দ মোবিন ছেলে হেলাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী লতা খাতুনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানান।