নিজস্ব প্রতিনিধি:-
কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নানের সার্টিফিকেট ভুয়া প্রমানিত হওয়ার পরও কেনো মান্নানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না! কেনো মান্নানের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হচ্ছে না! কেনো মান্নানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনোব্যবস্থা নিচ্ছে না!গত ০২-০২-২০২১ ইং তারিখে কুষ্টিয়ার বহুল প্রচারিত সংবাদ পত্র “দৈনিক সত্য খবর” এ সার্ভেয়ার মান্নানের সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশিত হলে মান্নানের এলাকাসহ সমগ্র কুষ্টিয়ার মানুষ আশাবাদী হয়, শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে। সবাই আশা করে এবার হয়তো এই জালিয়াতি, সন্ত্রাসী সার্ভেয়ার মান্নানের সঠিক বিচার হবে। শত শত মানুষ কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করে এই প্রতারক সার্ভেয়ার মান্নানের সর্বোচ্চ শাস্তি হউক। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করে তাকে আইনের আওতায় আনা হউক। কুষ্টিয়া পৌরসভায় বসবাসকারী সকল পেশাজীবীর মানুষ সার্ভেয়ার আঃ মান্নানের অপকর্ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। যাদেরকে মান্নান কেন্দ্রিক কুষ্টিয়া পৌরসভার কোনো কাজ করতে হয় অথবা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের অভিজ্ঞতাই তিক্ততার। এহেন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা যারা মান্নানের ব্যবহারে বিরক্ত নন। অনেকে তো সার্ভেয়ার মান্নানের মধ্যে সাক্ষাৎ শয়তানের প্রতিচ্ছবি দেখেছেন। নাম গোপন রাখার শর্তে একজন ভুক্তভোগী জানালেন তার দুর্দশার কথা, ” সার্ভেয়ার মান্নান আমার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা খেয়ে আমাদের জমি মাপতে আমাকে ঠকিয়েছে। আমার ভাইকে বেশি জমি দেখায়ে আমাকে কম দেয়া হয়।” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন “ইহ জীবনে কাউকে শয়তান দেখতে চাইলে সার্ভেয়ার মান্নানকে দেখলেই চলবে।”খোঁজ নিয়ে জানা যায় সার্ভেয়ার আঃ মান্নান বাড়াদীতে তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বাড়াদী “আল্লা রাখা আল মামুর জামে সমজিদ” এর সামনে সোনা মিয়া মার্কেটে একটা দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সন্ধ্যা থেকে রাত ১১-১২ টা পর্যন্ত আড্ডা দেয়। জায়গাটি বাড়াদী মণ্ডল পাড়া, বাড়াদী মাঠ পাড়া, বাড়াদী স্কুল পাড়া সহ ফুলবাড়ি মিনাপাড়া যাওয়ার প্রবেশ মুখ। তবে সার্ভেয়ার মান্নান না থাকলেও তার ক্যাডার বাহিনী প্রায় সর্বক্ষণই সেখানে থাকে এবং পথ চলতি মানুষদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। অনেকেই অভিযোগ করেন তারা দোকানের সামনে রাস্তার পাশে চেয়ার নিয়ে বসে থাকে আর কেউ সেখান দিয়ে গেলে হয় তাদেরকে কথা দিয়ে নতুবা দেহভঙ্গি দিয়ে কটূক্তি করে। সমাজের নিন্ম বিত্ত মানুষদের তারা নিজেদের দিকে ঝুকতে, নিজেদেরকে সাপোর্ট নিতে অন্যায়ভাবে প্রেশার করে। সমাজে যারা তাদের অন্যায়কে মানতে চায় না তাদেরকে তারা ভয় ভীতি দেখায় এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাদের অশ্রাব্য গালাগালি, অশোভন আচরনে সমাজের ভদ্র মানুষ তাদের পরিবারের মহিলাদের নিয়ে সেখান দিয়ে যেতে বিব্রত বোধ করে। তাদের অশোভন চাহনিতে মহিলারা চরম লজ্জাকর পরিস্থিতিতে পরেন তবে অসহায় হয়ে ঐ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হন অন্য কোনো বিকল্প উপায় না থাকায়। সার্ভেয়ার মান্নানের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মূল জায়গা হিসাবে পরিচিত সোনা মিয়া মার্কেটের দোকানটাকে ইঙ্গিত দিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। খোঁজ নিয়ে জানা যায় উক্ত দোকানটি মূলত চাউল ব্যবসার প্রতিষ্ঠান হিসাবে ভাড়া নিয়ে বর্তমানে তারা রীতিমত নিজেদের অপকর্মের অফিস বানিয়ে ফেলেছে। ৫-১০ বস্তা চাউল রেখে ১৫-২০ টা চেয়ার সাজিয়ে চলে রীতিমত সন্ত্রাসী আড্ডা। রাতে বহিরাগত বিভিন্ন সন্ত্রাসীর আবির্ভাব ঘটে, চলে ঘন্টার পর ঘন্টা সন্ত্রাসী আড্ডা। কাকে মারতে হবে, কাকে ধরতে হবে, কাকে এলাকা ছাড়া করতে হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই চাউলের দোকান তথা সার্ভেয়ার মান্নানের অফিস খ্যাত এই কু কর্মের দোকান থেকেই। এখান থেকেই বিভিন্ন অস্ত্র শস্ত্র বের করে হামলা চালানো হয় ভুক্তভোগীদের উপর।এলাকাবাসীর অনেকেই উক্ত মার্কেটের মালিককে বিষয়টি জানালে দোকান মালিক তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। তিনি জানান সার্ভেয়ার মান্নানকে দোকানটি ছেড়ে দিতে বলা হলে সে ছাড়তে তো রাজি হয়ই না বরং তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে সোনা মিয়া মার্কেটের মালিকের সাথে সরাসরি কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। সচেতন মহল দাবী জানান সার্ভেয়ার মান্নানকে আইনানুগ ব্যবস্থার আওতায় এনে তার প্রতারনার সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হউক।