নিজস্ব প্রতিনিধি:-
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মহানগর পশ্চিমপাড়ায় সৈয়দ আলীর দ্বিতীয় সন্তান সাত্তার মোল্লা সাথে এ ঘটনা ঘটেছে। সৈয়দ আলীর পরিবারের সকল সদস্যদের উপর মিথ্যা নাটকীয় ও হয়রানি মামলা দিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে শিউলি আক্তার। বাদ পড়ছে না প্রতিবেশীরাও। তারাও শিউলি আক্তারের মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলার শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘ দুই বছর ধরে তিনি মহননগর পশ্চিম পাড়ায় তিনি এই অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। এলাকাবাসীরা ও পরিবারের সদস্যরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কে বা কারা কল কাটি নাড়াচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। এ বিষয়ে সৈয়দ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার তিন পুত্র সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে জোয়াদ মোল্লার বউ শিউলি আক্তার। আমার ছোট ছেলে জোয়াদ মোল্লা দীর্ঘ ২০ বছর দেশের বাইরে মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছে। শিউলি আক্তার আমার দ্বিতীয় ছেলে সাত্তার মোল্লার ঘর সে জোর করে দখল করতে চাই। সাত্তার মোল্লা ঋণ ও কাজ করে ঐ ঘরটা অনেক কষ্ট করে নির্মান করেছে। বর্তমানে সে হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসে দখল করতে চাই। এটা মেনে নিতে পারছে না মেঝ ছেলে সাত্তার মোল্লা। আমি তাকে আমার ছোট ছেলে যে ঘরে থাকতো আমি তাকে সে ঘরে জায়গা দিতে চেয়েছি। তার পরেও সে বিভিন্ন সময় পরিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে কখনো নিজের
হাত নিজে কেটে হাসপাতলে ভর্তি হয়ে থানায়অভিযোগ দায়ের করেছে আবার কখনো বা ঘুমের বড়ি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় মামলা করছে। আমরা নাকি তাকে ধরে মারধর করে বিষ খাওয়াচ্ছি। দীর্ঘ দুই বছর ধরে এই ঘটনাগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করছে। যাতে আমি ও আমার পরিবারের সকল সদস্যরা বিপদে পড়ি। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের সার্বিক ভাবে সহযোগিতা
কমানা করছি। তারা সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্তের মধ্যে দিয়ে একটি সুন্দর সমাধান করে দিবে।যাতে আমার পরিবার ও প্রতিবেশিরা ভালো থাকতে পারে। এলাকাবাসীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, শিউলি আক্তার দাবী করে সেটা কখনোই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। সাত্তার মোল্লা ঘর করেছে সে ঘরে তাকে থাকতে দিয়েছিল, এখন সে সাত্তার মোল্লা ও তার পরিবারকে ঘর থেকে বের করে দিতে চাই। আমরা এলাকাবাসী আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নিয়ে গ্রাম্য সালিশের মধ্য দিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছিলাম তারপরও সে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন নাটকীয় মামলা তৈরি করে পরিবার ও এলাকাবাসীদের কে অশান্তিতে রেখেছে। শিউলি আক্তার সম্পর্কে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে তিনি অনৈতিক ও মাদক ব্যবসায়ীদের
সাথে তার খুব সুসম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে। চাঁদপুর ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড মেম্বার বৃক্ষের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছি শিউলি আক্তার যে কাজগুলো করছে তা অমানবিক ও অশোভনীয়। তাকে মেনে নিয়েছে ছোট বউ হিসাবে এটাই অনেক বড় কথা। তারপর আবার সাত্তার মোল্লা জায়গা দিচ্ছে থাকার জন্য সেটা পছন্দ হচ্ছে না। তার মনে হয় মানসিক কোন সমস্যা আছে। আমরা শিউলি আক্তারের কাছে প্রশ্ন করলে সে উল্টোপাল্টা কথা বলে সঠিক উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যায়। সে এক এক সময় একেক ধরনের কথা বলে থাকে।চৌরঙ্গী ক্যাম্পের সাব ইন্সপেক্টর আজাদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শিউলি আক্তার ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে।আমরা এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করছি আমি নিজে তার বাসায় যেয়ে সমস্যার সমাধান করে দিয়ে এসেছিলাম । ঐদিন রাতে সে বিষ খায় বিষ খেয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। সে বলে তাকে নাকি প্রতিবেশী ও সৈয়দ আলীর পরিবার বিষ খাওয়ায়ে মেরে ফেলে দিতে চেয়েছিল। আমি এ ঘটনা শুনা মাত্রই ৮ জনকেই গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করি। তবে বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করছি আসলে কি ঘটনা ঘটেছে।