দৌলতপুর প্রতিনিধি:-
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দৌলতপুর উপজেলার জয়ভোগা গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহাজাহান আলী মাষ্টারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করেছে একদল সন্ত্রাসী।গত সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মহিলা সহ ৭ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মোঃ জহুরুল ইসলামের নির্দেশে এস আই শাহ্ আলী ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার শাহাজাহান আলীর ভাতিজা নিখিল বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাদী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের ওয়াহেদ আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জমির মালিকানা দাবি করে একই এলাকার ইন্তা, শুভ, সাদু ( চিন্হিত মাদক ব্যবসায়ী), আছান (মাদক ব্যবসায়ী), শুকচাঁদ, টগর,মহিদ, তৌহিদুল হুজুর, মারিফ, রুবেল, খোকন (মাদক ব্যবসায়ী), লিটন, সবুজ, রাজীব, সোহাগ সহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সোমবার সকালে অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় আহতরা হলেন,ওয়াহেদ আলী, ছের আলী, শাহাজাহান আলী, ইয়াদুল, নিখিল, জুয়েল, লাভলু, দানেজ, মমতাজ, বৃষ্টি। আহত ওয়াহেদ আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা শাহাজাহান আলী জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনার দিন ইন্তা’র নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ও ভাইয়ের বাড়ি ভাংচুর করে। বাধা দিতে গেলে আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট শুরু করে দেয়।আমার ভাই ওয়াহেদ আলী কে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আমার ভাই ভাতিজারা উদ্ধার করতে আসলে নিখিল, জুয়েল, ইয়াদুল, লাভলু, সহ মমতাজ, বৃষ্টিকেউ ব্যাপক মারপিট করে। আমরা বাড়িতে থাকতেই পারছি না। চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি, মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহুরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় নিখিল বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।