ডন ডেস্ক:-
আব্দুল মতিন খসরু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং কুমিল্লা জেলার অবিভক্ত বুড়িচং থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন মতিন খসরু। পরে ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে নিয়মিত প্র্যাকটিস শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন অনেক দিন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিন খসরু কুমিল্লা-৫ আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য। ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মতিন খসরু আইনমন্ত্রী থাকাকালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলা হয়।গত ১০ ও ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। গত ১২ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি। সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এলাকার স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং ক্রান্তিকালে সর্বশক্তি দিয়ে জনগণের পাশে থেকেছেন। তাঁর এই অসময়ে চলে যাওয়া জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশ এক দেশপ্রেমিক, মেধাবী সন্তানকে হারালো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারালেন তাঁর এক বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে। আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।