শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
কুষ্টিয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক-৩ কুষ্টিয়ায় বিএনপি কর্মী সুজন মালিথাকে হত্যা মামলায় সাবেক এসপি গ্রেফতার কুষ্টিয়ায় এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের রহস্যজনক ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ কুষ্টিয়া শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজ সরকারি করনের দাবি কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে ভূমিদস্যুরাই এখন বিচারহীন অপরাধী দুই এএসআই হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা কুষ্টিয়ায় নিজের গলাই ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধার আত্মহত্যা কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-মা ও মেয়ের মৃত্যু চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না বুক ফেটে যাচ্ছে ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে

গাংনীতে স্বামী ও ননদ-শাশুড়ির অত্যাচারে প্রাণ দিলেন স্ত্রী!

Reporter Name / ৫৭৪ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ৮:১৫ পূর্বাহ্ন

ডন ডেস্ক:-

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে স্বামী ও ননদ-শাশুড়ির অত্যাচারে গ্রহবধু আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে নিহত গৃহবধুর শশুর পক্ষের পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ হাড়য়িাদহ গ্রামে মেয়ের বাবার বাড়ি এ ঘটনা ঘটে আত্মহত্যা কারি গৃহবধু উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের সাজেদুল ইসলামের স্ত্রী আসমানি খাতুন। সাজেদুল ইসলাম ঐ গ্রামের মৃত আঃ রশীদের ছেলে। জানা যায়, সাজেদুল ইসলাম ধানখোলা গ্রামের একটি মেয়ের সাথে পরোকিয়া সম্পর্ক গড়ে তুললে তার স্ত্রী আসমানি খাতুন বারণ করে। তার এই বারণের কথা না শুনে স্বামী সাজেদুল আরও বেশি করে পরোকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
নিহত গৃহবধুর ছেলে তুহিন (১২) সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে তার মাকে মেরে ফেলা হয়েছে। কারণ জানতে চাইলে সে বলে আমার মা আমার আব্বাকে ধানখোলা গ্রামের একটি মেয়ের সাথে পরোকিয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে। এসব কর্মকান্ডে বাঁধা দিলে আমার বাবা মাকে সব ময় মারধর করে। এপ্রিল মাসের ৩ তারিখে বিদ্যালয় থেকে এসে দেখি আমার বাবা আমার মাকে মেরে ঘরে ফেলে রাখা হয়েছে। এসময় মা’র মুখ থেকে লালা বের হচ্ছিল। দাদিকে জানালে দাদি মর্জিনা বলে তোর মা’র কাছে আমি যায়নি। তুই দেখ। পরে আব্বা এসে মাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে মা’র অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেল করেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে থাকার একদিন পরে আবারও অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং কুষ্টিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল সেখান থেকে মাকে নিয়ে আসি। পরের দিন ১৪ এপ্রিল আমার নানি বাড়িতে মায়ের মৃত্য হয়। মৃত্যু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আমার বাবা সাজেদুল ইসলাম মাকে দেখতে আসেনি। ছেলে তুহিন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন আমার বাবা ও দাদি বাড়ির সকলে আমার মায়ের মৃত্যুর কারণ। কারণ আমার ফুফু টগর নানি বাড়ি এসে আমার মকে প্রহার করে গেছে অনেক সময়। গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, গৃহবধু মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর