নিজস্ব প্রতিনিধি:-
গত ১৫ এপ্রিল ২০২১ খ্রিঃ তারিখ মোঃ মুরাদ হোসেন, পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ, সাং-৫/১ কোর্টপাড়া( খান বাহাদুর সামছুজোহা সড়ক), থানা ও জেলা-কুষ্টিয়া’র মালিকানাধীন মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানেলপাড়া গ্রামস্থ টিনসেড বাসার ভিতর হতে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে মর্মে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ সংবাদ প্রাপ্ত হয়। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তীর পরপরই কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানেলপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোঃ মুরাদ হোসেনের টিনসেড বাসায় প্রবেশ করতঃ দুগর্ন্ধ অনুসরণ করে বাসার ভিতর রান্নাঘরে মেঝের মাটির নিচে হতে একজন মহিলার পচাগলিত দুর্গন্ধযুক্ত লাশ উদ্ধার করেন। উক্ত লাশ উদ্ধারের সংবাদ প্রচারের সাথে সাথে মৃত মহিলার বোন মোছাঃ আলপনা খাতুন(৩২) এবং আপন ভাই মোঃ নাজমুল ইসলাম(২৬), পিতা-মোঃ কেরামত মালিথা ওরফে কিনু মালিথা, সাং-হাটশ হরিপুর(মিল্লাপাড়া), থানা ও জেলা-কুষ্টিয়া ঘটনাস্থল মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানেলপাড়ায় উপস্থিত হয়ে লাশটি তাদের বোন রিনি খাতুন(৩০) এবং মোঃ আল আমিন(২৩), পিতা- ওলাই, সাং-বদনাভাঙ্গা বসাকুষ্টিয়া, থানা-পাংশা, জেলা-রাজবাড়ী’র স্ত্রী বলে সনাক্ত করে। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনার তথ্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তীর পর পরই কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম তাৎক্ষনিক ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে মোঃ ফরহাদ হোসেন খাঁন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা এবং ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা), কুষ্টিয়ার সার্বিক দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম এবং মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, কুষ্টিয়ার নেতৃত্বে মোহাম্মদ শওকত কবির, অফিসার ইনচার্জ, কুষ্টিয়া মডেল থানা, মোঃ মামুনূর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক(অপারেশন), কুষ্টিয়া মডেল থানা, কুষ্টিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান শুরু করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মহোদয়ের সময়োপযোগী নির্দেশনায় আধুনিক টেকনোলজী ও তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত ভিকটিম এর স্বামী আসামী মোঃ আল আমিন(২৩)কে ১৬/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ ১৫:০০ ঘটিকার সময় ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানা পুলিশের সহায়তায় শৈলকুপা থানাধীন নবগ্রাম(কাতলাগারি) হতে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসামী এবং ভিকটিম পরস্পর স্বামী-স্ত্রী এবং ভিকটিম পরকীয়া আসক্ত মর্মে আসামীর সন্দেহ হওয়ায় গত ২৫/০৩/২০২১ খ্রি তারিখ রাত্র অনুমান ১০:৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল আসামীর ভাড়া করা বসত বাড়ীর শয়নকক্ষে উভয়ের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে আসামী ভিকটিমকে স্বজরে ধাক্কা দিলে ভিকটিমের মাথা খাটের কোনায় লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম ও রক্তক্ষরণ হয়।এক পর্যায়ে আসামী ভিকটিম রিনিকে মৃত ভেবে লাশ বাসার ভিতর রান্নাঘরের মেঝেতে মাটির নিচে চাপা দিয়ে কৌশলে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এই সংক্রান্তে কুষ্টিয়া মডেল থানার মামলা নং-২৫ তারিখ-১৬/০৪/২০২১ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক নিজেকে জড়িয়ে স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।