ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দোয়া চেয়ে মাঠে নামাজ পড়েলেন কুমারখালীর একটি ইউনিয়নের শতাধিক মানুষ। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, মুসল্লিদের নিষেধ করলেও শোনে না। মসজিদেও তারা মাস্ক না পরে নামাজ পড়েন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে চলমান ‘কঠোর লকডাউনের’ মধ্যেই কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাঠে জড়ো নামাজ পড়েছেন স্থানীয়রা। বৃষ্টি চেয়ে সোমবার সকালে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছেন উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কয়েকশ মানুষ। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিদের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। পাশা পাশি বসেই তারা নামাজ পড়ছিলেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন চর জগন্নাথপুর গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় তাপদাহে দেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতে প্রয়োজন পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে পানি প্রার্থনা করে দোয়া করা সুন্নত। তাই এই নামাজের আয়োজন করা। কুষ্টিয়ায় কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি হয় না। তাই আমরা দোয়া করেছি। লকডাউনে মসজিদেও এক সঙ্গে ২০ জনের বেশি লোকের জমায়েত নিষেধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নামাজের জন্য শতাধিক লোক কীভাবে জড়ো হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয় জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (চর জগন্নাথপুর ও চর মাহেন্দ্রপুর) সদস্য আবুল কাশেমের কাছে।তিনি বলেন, নামাজ হয়েছে চর মাহেন্দ্রপুর স্কুলের পাশে রাস্তার ওপারে। যে মাঠে নামাজ হয়েছে সেটা চর ভবানীপুর গ্রামে পড়ে। এটি পাবনা সদরের মধ্যে। দুই জেলার মানুষই সেখানে নামাজ পড়েছেন। মুসল্লিদের নিষেধ করলেও শোনে না। মসজিদেও তারা মাস্ক না পরে নামাজ পড়েন।ইউপি সদস্য কাশেম আরও বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামে করোনার প্রকোপ কম। তাই মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চান না। তবে নিয়মিত তাদের মৌখিকভাবে সচেতন করা হচ্ছে।এ বিষয়টি জানতে চাইলে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক খান বলেন, তিনি এই নামাজের কথা জানেন না। তিনি বলেন, ‘মাস্ক না পড়ে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে তা ঠিক হয়নি। আমি এই নামাজের আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলব এবং সচেতন করব।