রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজ সরকারি করনের দাবি কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে ভূমিদস্যুরাই এখন বিচারহীন অপরাধী দুই এএসআই হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা কুষ্টিয়ায় নিজের গলাই ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধার আত্মহত্যা কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-মা ও মেয়ের মৃত্যু চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না বুক ফেটে যাচ্ছে ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জে অসময়ে যমুনার ভাঙ্গন, বহু বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন

Reporter Name / ৬৩৫ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১, ২:১৩ অপরাহ্ন

ডন ডেস্ক:-

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার দক্ষিণে যমুনা নদীর অসময়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ভাঙ্গন এলাকার অনেক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় যুগ ধরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার দক্ষিণে দফায় দফায় নদী ভাঙন চলছে। প্রতিবছরই নদীতে পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় এবং প্রচন্ড স্রোতের কারনে একের পর এক ঘরবাড়ি, বসতবিটা, জায়গাজমি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়। এ পর্যন্ত ২০ হাজার বসতবিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বহু পরিবার পথে বসেছে। এ দূঃখ দুর্দশা দেখতে গত ৪ বছরে কমপক্ষে ৫ বার স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীসহ পাউবো কর্মকর্তারা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রতিবারই ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের দিয়েছেন স্থায়ী তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মাণে নানা প্রতিশ্রুতি। এ ভাঙ্গন রোধে প্রায় ৪ বছর আগে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মনগ্রাম-আড়কান্দি থেকে পাঁচিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকা স্থায়ী তীর সংরক্ষণে সাড়ে ৬’শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ প্রকল্প অনুমোদন হচ্ছে না। এতে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু করতে পারছে না পাউবো। এ কারণে ভাঙনের মুখে পড়ে বহু পরিবার গৃহহীন হচ্ছে। গত ৭ মার্চ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙন কবলিত এনায়েতপুর-পাচিল এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্থদের তিনি স্থায়ী তীর সংরক্ষন প্রকল্পের কাজ দ্রুত অনুমোদনের আশ্বাস দেন। এখনও সেই পকল্প অনুমোদনের ফাইল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েই রয়েছে। এদিকে দেড় সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীতে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার আড়কান্দি, পাকুরতলা, বাঐখোলা ও পাঁচিল এলাকা বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই এ ভাঙন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য এলাকাবসীর নিজস্ব উদ্যোগে ভাঙন প্রতিরোধে বাঁশের বেড়া (সটক) স্থাপন করেও এ অসময়ে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, অসময়ে ভাঙ্গন রোধে জরুরী জিও ব্যাগ ফেলার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে সাড়ে ৬শ কোটি টাকার প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন হয়নি। এ কারণে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা যাচ্চে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর