কুমারখালী প্রতিনিধি:-
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম এলাকার আলোচিত ভিক্ষুক আবুহার মল্লিককে হত্যা মামলার আসামি গোপালপুর কাজীপাড়ার শামসুদ্দিন ডিলারের ছেলে সোহেল এর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের তথ্য এলাকাবাসীর দিতে শুরু করেছে। সাম্প্রতিক সদকী ইউনিয়ন ঘুরে এসে অভিযুক্ত এই সোহেলের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষকেও মারপিট, গরীব অসহায় দিনমজুরের জমি দখল, কবরস্থানের জায়গার নাম করে জমি দখলের চেষ্টা নানা কুকর্মের তথ্য ইতিমধ্যেই প্রকাশ হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন অপকর্মের মধ্যে জানা গেছে প্রায় ২২ বছর আগে ঘাসখাল বাজারের পাশে মৃত তজর উদ্দিন সরদারের ছেলে রেজমত সরদার ওরফে নিলফা (৬৮) একই গ্রামের আকবর হোসেন আকু মেম্বারের মেজো ভাই মতিন এর কাছ থেকে নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে ১১ শতক জমি ক্রয় করেন।বৃদ্ধ এই মানুষটি মহেন্দ্রপুর থেকে এসে এখানে বাড়ি করায় ছিলোনা পার্শ্ববর্তী কোনো সহযোগিতা। আর সেই সুযোগেই হত্যা মামলার আসামি সোহেলের নজর পড়ে নিলুফার ওই ১১ শতক জমির দিকে। ভুক্তভোগী নিলফা জানান, আমি জমি কেনার ১০ বছর পর সোহেল মাস্তান ভাড়া করে নিয়ে এসে আমার বাড়ির সাথে আমার কেনা জমি দখল করে নেয়। সে সময় জমিতে পাট খেত ছিলো এবং জমির চারপাশ দিয়ে ছিলো আম গাছ লাগানো। জমি দখলের সময় আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে সোহেল মারপিট করে, আমার মুখের দাড়ি ধরে টেনে মাটিতে ফেলে দেয়। সে সময় আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করলে তাকেও মারপিট করতে যায় এসময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সর্বশেষ আমার অত্যন্ত কষ্টের রোজগারের টাকা দিয়ে কেনা ১১ শতক জমি এখনো সোহেল দখল করে আছে। দখল করার বিষয়ে আমি অনেক আগে থানায় অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু তার কোনো ফল আসে নাই। এসময় নিলফার স্ত্রী জানান, আমরা গরীব মানুষ আর সোহেল অনেক বড়লোক, তার টাকার কাছে আমরা পাড়ছিনা। আমরা কোনো কিছু বললেই আমাদের বিরুদ্ধে তার সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দেয়। এ সময় স্থানীয় প্রায় ১৫/২০ জন মানুষ জড়ো হয়ে সকলেই সোহেলের নানা কুকর্মের কথা বলতে থাকেন এবং ৬৮ বছর বয়সের বৃদ্ধা সরদার নিলফাকে আঘাত করা এবং তার দাড়ি ধরে টেনে মাটিতে ফেলে দেওয়ায় ব্যাপারে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে। এমতবস্থায় নিঃস্ব হয়ে পরিবারটি দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সোহেলের ক্ষমতার কাছে কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি। এমন কুকর্মের হোতা সোহেলের বিচারের দাবী করেছে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা!