ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ব্রাক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। পান্টি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হেফাজতে ইসলামের এক সদস্যর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত বৃহস্পতিবার সকালে আরবি পড়ানোর সময় এই ঘটনা ঘটিয়ে এলাকার সমাজপতির সহযোগিতায় পালিয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত পান্টি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত রব্বানের ছেলে ইছাহক হুজুর (৫৫)।
ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, অনেকের সাথেই তার বাচ্চা সকালে আরবি পড়তে ইছাহক হুজুরের বাড়িতে যায়। কিন্তু হুজুরের বাড়িতে যেতে তার বাচ্চা মাঝে মাঝেই আপত্তি জানায়। তিনি ভেবেছেন পড়া ফাঁকি দেবার জন্য বাহানা করে। বৃহস্পতিবার পড়তে গিয়ে ফিরে এসে তার মেয়ে জানায় অনেক দিন ধরেই ইছাহক হুজুর তার শরীরের আপত্তিকর স্থানে হাত দেয়। ইতিপূর্বে ভয়ে বাড়িতে জানায়নি। তিনি বিষয়টি শুনে তাতক্ষনিক হুজুরের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। এরই মধ্যে বিকেলে সমাজপতি রহমত আলীর ছেলে আনিস ইছাহক হুজুরকে তাদের বাড়িতে নিয়ে এসে মাপ চাওয়ায় এবং তার শাশুড়ীকে ঝাঁটা দিয়ে মারতে বলে এবং বিষয়টি আর কাউকে না জানানোর কথা বলে। তিনি ভয়ে কাউকে জানাননি। ভুক্তভোগী শিশু জানায়, পড়তে গেলে ইছাহক হুজুর খেজুর অথবা চকোলেট খেতে দিলে তাকে বেশী দেয়। বৃহস্পতিবার অন্যান্যদের আগেই ছুটি দিয়ে তাকে এবং আছিয়াকে বসতে বলে অন্য রুমে নিয়ে এই অপকর্ম করে। এ বিষয়ে সমাজপতি আনিছের স্ত্রী হাছিনা জানান, তার স্বামী আওয়ামীলীগ করে এবং এলাকার সমস্ত শালিসী বৈঠক করে। তার স্বামী ইছাহক হুজুরকে ভুক্তভোগীর বাড়িতে নিয়ে এসে মাপ নেওয়ায় কাজেই এ বিষয়টি এখানেই শেষ। ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. তাইজাল বিশ্বাস জানান, শিশুর পরিবার ভয়ে কারোর কাছে যেতে পারছেনা। তিনি রোববার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তার উপর আনিছের পরিবার, মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে আলিম ও মৃত হাকিমের ছেলে মিজানুর চড়াও হয়। তিনি আরো বলেন সমাজপতি রহমত ও তার ছেলে আনিস ইছাহক হুজুরের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে পান্টি ক্যাম্প আইসি আতিক জানান, রোববার সন্ধ্যায় তিনি সরেজমিন গিয়েছিলেন ইছাহক হুজুর পালিয়েছে। যেকোনভাবে তাকে আটকের প্রক্রিয়া চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।