ডন ডেস্ক :-
কুষ্টিয়ায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুম । এদিকে এন এস রোডের সাধারণের দোকান বন্ধ হচ্ছে বিকাল ৫টায়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইজি, টুয়েলভ, সিম্পল তাদের ব্র্যান্ড শো-রুম খুলে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার যেখানে সারাদেশে লকডাউন প্রণয়ন করেছে সেখানে আওয়ামীলীগ এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু মানুষ সেটিকে বাঁধা প্রদান করছেন। রাত ৯টার সময় কুষ্টিয়া শহরের ৬রাস্তার মোড়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টুয়েলভ নামীয় একটি ব্র্যান্ডের শো-রুম খোলা রেখে বহাল তবিয়তে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। সরকারী সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সদস্য ও প্রজন্মলীগ কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সভাপতি পরিচয় দিয়ে দোকান খোলা রেখেছে সৈয়দ মাহমুদ করিম নামের এক যুবক। এই যুবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে তারই আদর্শের দলের নেতা পরিচয় দিয়ে সরকারী সিদ্ধান্তকে অমান্য করছে। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের পূর্নাঙ্গ কমিটিই এখন হয়নি। যদি কেউ ছাত্রলীগের সদস্য পরিচয় দেয় তবে সে মিথ্যা পরিচয় দিয়েছে। আমাদের জেলা কমিটি শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে আংশিক কমিটি হয়েছে। এদিকে কুষ্টিয়া লোকাল এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ৫ টা বাজতে বাজতে দোকান বন্ধ করে দি। আর ব্র্যান্ডের শো-রুম রাত সাড়ে ৮টা প্রর্যন্ত দোকান খোলা রাখবে এটা হতে পারে না। দি কুষ্টিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক এস এম কাদেরী শাকিলের সাথে কথা হলে জানান, সরকারী নির্দেশনা মেনে কুষ্টিয়ার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিকাল ৫ টার মধ্যে দোকান বন্ধ করে কিন্তু এই কুষ্টিয়ার বাইরে থেকে আসা ব্র্যান্ডের দোকানগুলো সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান খোলা রেখেছে। যার কারণে বড় বৈষম্যের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে সরকারী নির্দেশনা না মানাটা দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধন কুমার বিশ্বাস এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা তাদেরকে সতর্ক করেছি।