ডন ডেস্ক:-
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শালঘরমধুয়া এলাকায় আওয়ামী লীগ দলীয় আলী হোসেন ও তোফাজ্জেল হোসেন পক্ষের সঙ্গে জাফর ও লিটন পক্ষের বিরোধ চলছে। এলাকায় প্রভাব ও আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে ৪ এপ্রিল জাফরের সমর্থক আরিফ হোসেন তোফাজ্জেলের এলাকায় রোগী দেখতে যান। এ সময় চোর গুজব তুলে আরিফকে বেধড়ক মারধর করে প্রতিপক্ষরা। এ নিয়ে দুই দিন পর ৬ এপ্রিল উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে জাফর পক্ষের মুকুল ও তোফাজ্জেল পক্ষের ওয়াদুদ আহত হন। এ ছাড়া উভয় পক্ষের ১৫ থেকে ২০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা করে এবং আসামিরা জামিনে ছাড়া পান। জামিন নিয়ে এসে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও উত্তেজনা চলছিল। আজ সকালে তোফাজ্জেল পক্ষের সমর্থকেরা জাফর পক্ষের ফারুক, রাশেদুলসহ অন্যদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনার পর উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ১৫টি ফাঁকা গুলি করে। এ সময় অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এএসআইসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাশেদুল হক (৩৫) নামে এক ব্যক্তি হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাতটার দিকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফরিদ হোসেন, শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৮) ও আতিয়া শেখের ছেলে রাশেদুল হক (৩৫)। আহত ব্যক্তিরা সবাই কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। এ নিয়ে থানায় দুটি মামলা রয়েছে। সকালে হঠাৎ দুই পক্ষ ঘরবাড়ি ভাঙচুর শুরু করে এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।একজন গুলিবিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সদস্যরা দুটি বিলের মধ্যে চলে যান। গুলিবিদ্ধ কীভাবে হলেন জানা নেই। কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকুল উদ্দীন বলেন, রাশেদুল হকের বাঁ হাতে গুলি লেগেছে, সেটা বের হয়নি। অস্ত্রোপচার করাতে বলা হয়েছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত। কী ধরনের গুলি, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘বুলেট না রাবের বুলেট সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।