নিজস্ব প্রতিবেদক:-

কুষ্টিয়ায় ক্রেতা কে মারধর করলেন স্টেপ জুতা শো রুমের কর্মচারী। এযেনো প্রশ্ন করলে ক্রেতাকে লাঞ্চিত করে একশন নেওয়ায় কুষ্টিয়া স্টেপ জুতার শো রুমের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজ!জানা যায় যে পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে মার্কেটে একশ্রেণীর অসাধু ব্যাবসায়ীদের অপকর্ম বেড়েই চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ার এন.এস রোডে অবস্থিত স্টেপ জুতার শো রুমের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ক্রেতাদের কে একের পর এক লাঞ্চিত করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাত ১০ টার দিকে কুষ্টিয়ার এন এস রোডের বক মোরে অবস্থিত স্টেপ জুতা শো রুমে রাকিব রহমান ( ছদ্মনাম) নামের এক ক্রেতা জুতা কিনতে গেলে তাকে এক পর্যায়ে লাঞ্চিত করে, জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করে দোকানের এক কর্মচারী। ঠিক তারই কিছু ক্ষন পর মিরাজ আহমেদ (ছদ্মনাম) নামের এক ক্রেতা জুতা কিনতে গেলে তাকেও জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে শো রুমের ঝাপ নামানো অবস্থায় দোকানের মধ্যে মারধর করে স্টেপ জুতা শো রুমের কর্মকর্তা কর্মচারী রা, এসময় তাদের মধ্যে একজন নিজেদের কে থানার লোক বলেও পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখান ওই ক্রেতা কে, যাতে সে পরবর্তী তে কারো কাছে এবিষয়ে মুখ খুলতে না পারে। এসময় সেখানে জনসাধারণ ভীড় জমে যায়, পুলিশ ঘটনা উপস্থিত হলে পরিস্থিতি কিছু টা স্বাভাবিক হয়।
অভিযোগের নেই শেষ! স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে যে একের পর এক এভাবে ক্রেতাদের কে লাঞ্চিত করার ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটছে স্টেপের শোরুমে। গত কয়েক দিন আগে পুলিশের এক সদস্য জুতা কিনতে গেলে তার সাথে অসদাচরণ করে দোকানের কর্মচারী রা। এছাড়াও এছাড়াও জেলার একটি থানার সয়ং এক ওসি মহোদয় জুতা ক্রয় করতে গেলে তার সাথেও এরকম অসদাচরণ করে জুতা দোকানী রা। সে ঘটনায় ওসি মহোদয় ভদ্রতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়াও জুতার উপরে প্রকৃত মুল্যের সিল তুলে নতুন করে দাম বেশি লিখে সিল মেরে বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে স্টেপ জুতার শো রুমের বিরুদ্ধে। ক্রেতা কে দোকানের মধ্যে মারধরের ঘটনা সম্পর্কে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন এঘটনায় অভিযোগ দায়ের হলে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন যাদের আচারনে সমস্যা, যারা দোকানের মধ্যে ক্রেতা কে মারধর করে তাদের সেই স্টেপ শো রুম থেকে জুতা ক্রয় না করা ভালো। তাই এসকল স্টেপের মত এসকল পণ্য কে বয়কট করা উচিত। যাতে এমন আর কারো সাথে করতে না পারে। স্থানীয় ক্রেতাদের দাবি অতিরিক্ত দাম বেশি নেওয়া ও ক্রেতা দের লাঞ্চিত করায় তাদের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। মাঝে মধ্যেই এই শো রুমে এমন ঘটনা ঘটছে বলেও জানান স্থানীয় রা।