নিজস্ব প্রতিনিধি:-
সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির সহ সভাপতি, নিউজ24 চ্যানেলের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জামিল হাসান খান খোকনের মৃত্যুকে ঘিরে আজ ১৭ মে সোমবার বেলা ১১ টায় নাফিজ আহমেদ টিটু তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক নেতা খোকন ঈদের চাঁদার টাকার ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে মারা গেছেন বলে মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া জেইউকের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, টিটু আপন ভাই হয়ে এই জাতিয় নোংরা ও মিথ্যাচার করলেন কিভাবে? সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া সরকার অনুমোদিত ও নিবন্ধিত একটি আদর্শিক সংগঠন। যা বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নভুক্ত। এখানে চাঁদাবাজির কোন সুযোগ নেই। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে মাঠে ময়দানে সোচ্চার ছিলেন সাংবাদিক নেতা জামিল হাসান খান খোকন। তিনি কোন চাঁদাবাজি কিংবা ভাগবাটোয়ারার সাথে জড়িত ছিলেন না। সৎ ও নির্ভীক, পরিচ্ছন্ন সাংবাদিক নেতা ছিলেন। তার নামাজে জানাযার হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি তার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে। বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিক ইউনিয়ন, বীর প্রতীক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীমের হত্যাকারী, পাটিকাবাড়ি থেকে গণগোলাই খেয়ে পালিয়ে আসা বিএনপি ক্যাডার, একাধিক নাশকতা মামলার আসামী, গাংনী থেকে পালিয়ে আসা যারা অবৈধ ভুয়া নিউজ পোর্টালে মিথ্যাচার করছে। জীবিত খোকনের চেয়ে মৃত খোকনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র নানা রকম কল্পকাহিনী নিয়ে মাঠে নেমেছে। বিপ্লব-খোকনের নেতৃত্বে কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানকে কালো পতাকা দেখানো হয়। সেদিন যারা মাহমুদুর রহমানের ব্যাগ টেনেছিলেন আজ তারাই সাংবাদিক নেতা খোকনের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। কুষ্টিয়া ষ্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে নিউজ24 চ্যানেলের পক্ষে জামিল হাসান খান খোকন প্রশ্ন করেছিলেন ইউনিপেটুইউ এর শীর্ষ প্রতারক মিঠু চৌধুরী হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারনা করে পালিয়েছে, তার বিরুদ্ধে থানায় ওয়ারেন্ট ও মাল ক্রোকের অর্ডার পড়ে আছে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে কি না। এর আগে মিঠু চৌধুরী সাংবাদিক বিপ্লব-খোকনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২ রাউন্ড গুলি করে। মিঠু চৌধুরীর বিচার দাবীতে বিপ্লব-খোকনের নেতৃত্বে শহরের ৫ রাস্তা মোড়ে মানববন্ধন করা হয়। সেই ক্ষোভের আগুন থেকে বাঁচতে মিঠু চৌধুরী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এই স্ট্যাটাস বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে ইউনিপেটুইউ’র পাহারাদার, মাসিক বেতনভুক্ত দালালচক্র, মিঠু চৌধুরীর বাসভবনে যে পত্রিকা ও টেলিভিশন অফিস করেছে তারা, মিঠু চৌধুরীর সাবেক রক্ষিতা তারা নানা ষড়যন্ত্র করছে। এর আগে আরশীনগর ভবনে মিঠু চৌধুরী সাংবাদিক বিপ্লব-খোকনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করায়। সেই শীর্ষ প্রতারক মিঠু চৌধুরী কুষ্টিয়ায় ব্যাপক টাকা ছড়িয়ে খোকন- বিপ্লবের বিরুদ্ধে যে কোন প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নাফিজ আহমেদ টিটুর সংবাদ সম্মেলনে তাদেরকে দেখা গেছে যারা বিগত সময়ে সময়ে খোকনের উপর হামলা, মামলা ও জিডি করেছে। আদর্শগতভাবে সারাজীবন খোকনের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীরা মৃত খোকনের লাশ তুলে হাতুড়ি ছেনির আঘাতে প্রতিশোধ নিতে উদ্যত।
নাফিজ আহমেদ টিটু বলেন, খোকন কোনদিন অসুস্থ ছিলো না। ছোট বেলায় ফুটবল খেলতে যেয়ে পায়ে ব্যথা ছিল। সাংবাদিক খোকনের ভাই যে, তার কোন খোঁজ রাখেনি এথেকে প্রমাণ মেলে। খোকনের বাসায় এখনও দুটি অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে একাধিকবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে, ঢাকায়, ভারতে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন সাংবাদিক নেতা খোকন। ৩ বার প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার অনুদানও পেয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে সাংবাদিক খোকন মানসিক চাপে ছিলেন বলেন তার সহকর্মীদের জানিয়েছিলেন। বাড়ির সামনে দোকান ও বটতৈলের জমি নিয়ে নাফিজ আহমেদ টিটু ও তার ছেলের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল। যা সাংবাদিক খোকনের মোবাইলের কল রেকর্ড সংগ্রহ করলেই দেখা যাবে তার ভাই টিটু এবং নাব্বিরের সাথে কি কথা হয়েছিল? তার হার্টবিট কারা বাড়িয়েছিলো?সংবাদ সম্মেলনে দেখা যায় নাফিস আহমেদ টিটু নাম না বলতে পারলেও সামনের বিএনপি জামায়াত পন্থীরা আসামী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সাংবাদিকদের নাম বলে দিচ্ছিলো যা ফেসবুক লাইভে অনেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। তাছাড়াও শোকে মুহ্যমান খোকনের স্ত্রী ও তার দুই নাবালক সন্তানের সামনে বুম দিয়ে যেভাবে কথা বলার চেষ্টা করছিলো স্বাধীনতা বিরোধীচক্র তারা এই সকল সাংবাদিক নামধারীদের ঘৃনায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। সাংবাদিক খোকনের পরিবার টিটুর বাড়িতে থাকার কারনে তাদের জিম্মি করা হচ্ছে। চাপ দিয়ে মিথ্যা কথা বলার চেষ্টা চালাচ্ছে নাব্বির। সদ্য জেল ফেরত নাব্বির হেফাজতের দাঙ্গার দিনে ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উস্কানীমুলক স্ট্যাটাস দিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিকরা তাকে ধরিয়ে দিয়েছে বলে সে চাচা খোকনের জায়গা জমি দখলের পর এবার লাশ নিয়ে চক্রান্তে নেমেছে।সাংবাদিক সম্মেলনে নাফিজ আহমেদ টিটু যে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বলেছেন, ডিসি কোর্টের ভিতর বিপ্লবের কোটি টাকার প্রেস আছে কেন? ডিসি কোর্টে দেড় হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। কোনটির বিরুদ্ধে তার বক্তব্য নেই যত অভিযোগ সাংবাদিক নেতা বিপ্লবের বিরুদ্ধে? নাফিজ আহমেদ টিটু আজীবন আওয়ামীলীগ বিরোধী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। খোকনকে বলেছিলো এক বাড়িতে দুই রকম দল না করে তার সাথে থাকতে কিন্তু জামিল হাসান খান খোকন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ মানুষ। টিটুর অভিযোগ বিপ্লবের কারনে খোকনকে তার দলে ভেড়ানো সম্ভব হয়নি। এজন্য আগে থেকেই সাংবাদিক বিপ্লবের উপর ক্ষোভ ছিল নাফিজ আহমেদ টিটুর। সাংবাদিক খোকনের মৃত্যুর পরের দিন খোকনের দৈনিক স্বর্ণযুগ পত্রিকা টিটুর নামে, কৃষ্ণচুড়া ক্লাবে খোকনের স্থলে টিটুকে সাধারন সম্পাদক করতে হবে, নিউজ24 চ্যানেল তার ছেলে নাব্বিরের নামে করে দিতে হবে দাবী করলে সাংবাদিক নেতা বিপ্লব সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে সাংবাদিক খোকনের মৃত্যুর পরের দিন বিকেলে টিটুর বাড়িতে যায় এবং তার পরিবারকে জানানো হয় খোকনের সম্পদ এবং পজিশন পাবে তার ওয়ারিশগণ। অন্য কেউ চেষ্টা করলে আমরা সাংবাদিক ইউনিয়ন ছেড়ে দেবোনা। এই ঘোষণার পর ঐ রাতেই নাফিজ আহমেদ টিটু সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সদস্যদের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক একটি জিডি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায়। সেখানে নানা কল্পকাহিনীর অবতারনা করা হয়। স্বাধীনতা বিরোধী কতিপয় ভূঁইফোড়দের সাথে নিয়ে সাংবাদিক খোকনের সম্পত্তিদখল, তার পরিবার থেকে সাংবাদিক ইউনিয়নের দুরত্ব সৃষ্টি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ইউনিয়ন ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নাফিজ আহমেদ টিটু এই নোংরামী করছে বলে এলাকাবাসী জানান।