নিউজ ডেস্ক:-
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মনোহরদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সেলিম রেজার বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করে নিয়েছে প্রভাবশালী একটি মহল।জানা যায়, গত বছর ২৯ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে এক হট্টগোল হয়। সে সময় সেলিম রেজার চাচা মনোহরদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মৃত সের আলী আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এবিষয়ে কুষ্টিয়া ইবি থানায় একটি মামলা রুজু হয়। যার নং-০৫, তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২০ইং। এরপর তৈয়ব আলীর ছেলে সেলিম রেজা, মৃত আফিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মৃত সবদ মাষ্টার, জহিরুল ইসলাম এর ৪টা ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও সেলিম রেজার ১ টা ওষুধের দোকান গুঁড়িয়ে দেয়। কেটে দেয় ২ বিঘা পেঁপে গাছ (৯শ টা), ৪৪৬ টা লেবু গাছ, ১০টা বাঁশ বাগান ও কাঠের গাছ ছোট বড় ৫০ টা। মেরে নেয় ৩টা পুকুরের ৭লক্ষ টাকার মাছ। ভেঙে নিয়ে যায় ৪ বিঘা পানের বরজ। সর্বস্ব হারিয়ে এখন পথে পথে ঘুরছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মনোহরদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে সেলিম রেজা। সেলিম রেজা জানান, আমি জেল থেকে এসে দেখি বাড়িঘর বিষয় সম্পদ কিছুই নেই। সব শেষ হয়ে গেছে। আমার আরেক চাচা সবদ আলী বিশ্বাস জেলের ভেতরে মৃত্যুবরণ করেন। পরে জানতে পারি, কুষ্টিয়া শহরের টালি পাড়া এলাকার মৃত আফিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৪৫) এর নির্দেশে সদর উপজেলার ইবি থানাধীন মনোহরদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আনধারি মন্ডলের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৫৫), নিজাম উদ্দিন নিজাম (৫০), নিজাম উদ্দিনের ছেলে লিংকন হোসেন (৩০), নাইম(২০), ছের আলীর ছেলে মুস্তাক(৪০), ইমাদুল হোসেন, মুস্তাকের ছেলে তুষার (৩০) ও ইমদাদুলের ছেলে তুহিন (২০)সহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন মিলে এই ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। সেলিম রেজা আরো জানান, গন্ডগোলের দিন আমি আমার বাবা-মা সকলেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়িঘর ভেঙ্গা। কোন আসবাবপত্র নেই। মনে হচ্ছে ভুতুড়ে বাড়ি। যে যার মতো ঘরের ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে। ইমদাদুল হোসেন বলেন, আমরা এই বাড়ির ভাগ পাবো। কিন্তু সেলিম মেম্বার দেয় না। ঘটনার দিন সেলিম মেম্বারের বাপ বাড়ির সামনে গাছ লাগাচ্ছিল এসময় আমার বাবা বলে ভাগবাটোয়ারা করে এরপর গাছ লাগাতে। এসময় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে গন্ডগোল বেধে যায়। এসময় সেলিম মেম্বারের লোকজন আমার বাবাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। আমিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অপারেশনের সময় আমার বাবা মারা যায়। ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমার সময়কার নয়। এখন যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিব।