ডন ডেস্ক:-

।। রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, মন্তব্য প্রতিবেদন।।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি দুর্নীতিবাজদের বিপক্ষে এবং সাংবাদিকদের পক্ষে তাঁর ফেসবুক আইডিতে ষ্ট্যাটাস দিয়ে নিজের অবস্থানকে শক্তভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি পরিচ্ছন্ন রাজনীতির এক সাহসী ব্যক্তিত্ব আবারও প্রমান করলেন। দেশ এবং জাতির দুঃসময়, দুর্দিনে সাহসী বক্তব্য বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছে। বিশেষ করে হেফাজত, জঙ্গী এবং আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাহবুবউল আলম হানিফ এক রাজনৈতিক বারুদের নাম। তিনি ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক জীবনে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। গণমানুষের পক্ষে থেকে আজীবন লড়াই করে চলেছেন বাংলা ও বাঙালির অধিকার আদায়ে। হামলা, মামলা এমনকি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা একজন সত্যিকারের জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবিস্কার মাহবুবউল আলম হানিফ। তৃণমূল থেকে রাজনীতির কেন্দ্রে অবস্থান করে যিনি সারাদেশে গণমানুষের প্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছেন। কখনও লোভ, লালসা কিংবা উচ্চাকাংখা এই নেতাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। চাওয়া পাওয়ার উর্ধ্বে থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশে এবং তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে নিজের আসন ভেড়ামারা-মিরপুর ছেড়ে দিতেও তিনি কুন্ঠাবোধ করেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশকে তিনি মনে প্রাণে মেনে নিয়েছেন সবসময়। বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব, বর্তমানে দিল্লিস্থ হাই কমিশনের প্রেস মিনিষ্টার শাবান মাহমুদ বলেন, মাহবুবউল আলম হানিফকে নিয়ে যে পত্রিকা একসময় মিথ্যাচার করেছে আজকে ইচ্ছে করলে তিনি এই সংবাদপত্রের সাংবাদিকের পাশে না দাঁড়ালেও পারতেন কিন্তু সাংবাদিক রোজিনার পাশে দাঁড়িয়ে যে ষ্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি দিয়েছেন এটি অনেক নিন্দুকের লজ্জারও কারণ হয়েছে। মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি যে একজন মিডিয়া বান্ধব, সাংবাদিকদের অকৃত্রিম বন্ধু তা তিনি বার বার প্রমান দিয়েছেন। অথচ কিছু অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি কোন কারণ ছাড়াই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। আজ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রমান হয়েছে রাজনৈতিক অনেক ব্যক্তিত্ব থাকলেও সাংবাদিকদের বিপদের সময় মাহবুবউল আলম হানিফ পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিজের ইচ্ছায় এবং একান্তই অন্তর থেকে, সাংবাদিকদের প্রতি ভালোবাসার জায়গা থেকে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন।
‘সাংবাদিকদের মামলা দিয়ে নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে দেশ-জাতি উপকৃত হবে’ এমন সাহসী এবং সময়োপযোগী বক্তব্য সাংবাদিকদের আশার আলো জাগিয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে নতুন এক ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিকরা এই বক্তব্যে তাদের প্রিয় মানুষকে খুঁজে পেয়েছেন।