নিউজ ডেস্ক:-
লকডাউনে কুষ্টিয়ার কলকারখানাগুলো চলছে বেপরোয়া ভাবে
সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩৪লাখ৫৬ হাজার ছাড়ালো,আর বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর সংখ্য ১২ হাজার ৩শত ৪৮ জন,বর্তমানে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবস্থা সবচেয়ে বেশি করুণ, প্রতি দিন মৃত্যু ও সংক্রমণে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে দেশটি,আর করোনার সবচেয়ে শক্তিশালী ডাবল মিউটেন্ট,B1617 ভারতীয় ধরন,এমুহূর্তে সবচেয়ে ভয়ংকর আতংকের নাম ভারতীয় ভেরিয়েন্ট, এরই মধ্যে বিশ্বে ২২টি দেশে এই করোনা ভাইরাসের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় এ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে,এরই মধ্যে গত কাল
বাংলাদেশের ঝিনাইদহতে দুই জন ভারত ফেরত রোগীর দেহে ভারতীয় ধরনের করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী সতর্কতা অবলম্বনের কারণে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও এবার নতুন দুঃচিন্তার নাম এই ভারতীয় টাইপের করোনা ভাইরাস, বিজ্ঞানীদের দাবি,ভারতীয় টাইপের করোনা ভাইরাস শুধু ফুসফুসেই ক্ষতি করে না, এটা শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়, ফলে আক্রান্ত রুগীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে মারা যাচ্ছে।
শুধু মাত্র ব্যাক্তিগত সচেতনতায় আমাদের করোনা থেকে নিরাপদ রাখতে পারে, অথচ সেই ব্যাক্তিগত ভাবে সবচেয়ে বেশি অসচেতন, তাই সরকার বাধ্য হচ্ছেন কঠোর হতে। কিন্তু কোনো অবস্থায় মানানো যাচ্ছে না কোনো আইন।
দেশে এখনো সরকার ঘোষিত লক ডাউন চলছে, কিন্তু কুষ্টিয়াতে লক ডাউন শুধু সরকারি অফিস – আদালতে, আর দূরপাল্লার পরিবহনে। বাকি সব কিছু চলছে স্বাভাবিক নিয়মে।কুষ্টিয়ার বাজার ঘাট ছাড়াও অসস্তিকর পরিবেশ কুষ্টিয়ার ছোট-বড় মিল কারখানাগুলোতে বিশেষ করে তামাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান,প্লাউড,প্লাস্টিক, চাউল মিল,মেটাল কারখানাগুলোতে, এসব কল- কারখানা গুলোতে অধিকাংশ শ্রমিক কম শিক্ষিত ফলে তাদের ভিতরে করোনা সচেতনতা অনেক কম,আবার কুষ্টিয়ার ছোট বড় কোনো কল- কারখানার নেই শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য নিজস্ব পরিবহন ব্যাবস্থা, চলছে সবাই ইচ্ছে স্বাধীন মতো।এদিকে বাংলাদেশের উপর করোনার তৃতীয় ঢেউ আসছে ভারত থেকে,সরকারের দিক নির্দেশনায় স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে বরাবরই কুষ্টিয়ার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও,এবার চিত্রটা ভিন্ন হতে পারে,কেননা কুষ্টিয়া সিমান্তবর্তী জেলা যদিও বাংলাদেশ -ভারত যাতায়াতের বৈধ কোনো পথ এ জেলায় নেই, তবুও মাত্র ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে এসে গেছে ভারতীয় ধরনের করোনা ভাইরাস। কোনো ভাবে যদি এ শক্তিশালী ভারতীয় টাইপের করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তবে বিপদের শেষ থাকবে না।যেখানে ভারত নিজেই হিমসিম খাচ্ছে অক্সিজেন সংকট নিয়ে, এই মুহুর্তে প্রায় প্রতি দিন ৪ হাজারের উপর মানুষ মৃত্যু বরন করছে, সেখানে আমাদের কি হতে পারে তা সহজেই অনুৃমেয়।এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে,বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রকৃত মৃতের সংখ্য ২গুনের বেশি । এই যখন সামগ্রিক পরিস্থিতি, তখন প্রশাসন কে এখনই জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে, লকডাউন কঠোর ভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনে কঠোর অবস্থানে যাওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ জনগণের শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে,কেননা করোনা সতর্কতায় এই মুহুর্তে মাস্কের কোনো বিকল্প নাই। এ ছাড়াও কুষ্টিয়া শহরে যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত রিক্সা- অটোরিকশার দিতে নজর দিতে হবে প্রশাসনকে,কেননা আমরা বিগত দিনগুলোতে করোনা কালিন সময়ে দেখেছি, অন্য বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও শহরে চলাচলরত রিকশা – অটোরিকশা যাত্রী পরিবহনে সামাজিক দুরত্ব বা সামাজিক নিরাপত্তা মানানো সম্ভব হয় নি। তাছাড়াও কুষ্টিয়াতে চালু রয়েছে ছোট-বড় অনেক কলকারখানা, যেখানে সরকার ঘোষিত কোনো নিয়ম-নীতি মানার বালাই নেই, নিজস্ব পরিবহন ব্যাবস্থা দুরে থাক,কর্মক্ষেত্রে নেই সামাজিক দুরত্ব মানা বা মাস্ক পরিধান করার আগ্রহ। তাই জনসাধারণ কে বুঝতে হবে ” নিজের সুরক্ষা, নিজের হাতে “।অন্যের জন্য নয়, নিজের জিবন বাচাতে নিজেকে সতর্কত থাকতে হবে।