নিজস্ব প্রতিবেদক:-
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জননেতা আঃকাঃমঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপি। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। সভা সঞ্চালনা করেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম।
বক্তব্য রাখেন, টিপু নেওয়াজ, শাইখ আল জাহান শুভ্র, আশরাফুল ইসলাম নান্নু, সাংবাদিক আব্দুল আলীম সাচ্চু, প্রভাষক সুমন দেওয়ান, আলহাজ্ব খাইরুল ইসলাম শিপন, উজ্জ্বল সরদার, মাইনুল ইসলাম, উল্কা, মিল্টন আহমেদ, মাহিমা, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাফর ইকবাল মিঠুন, মখলেছুর রহমান, ওবায়দুল হক মুকুল, রীতা, মাছুদুর রহমান প্রমুখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপি বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির সকল অপশক্তির নিশ্চিহ্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না হয় তারা এই ৫১ বছরে আরো শক্তি সঞ্চয় করেছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষগুলো নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে গ্রুপিংয়ে নতুন নতুন রাজনৈতিক সংগঠন খুলে মূল ধারার শক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এতে একদিকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ক্ষয় হয়েছে , পক্ষান্তরে স্বাধীনতা বিরোধীদের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা ঐক্যবদ্ধ এবং সংগঠিত হয়েছে। যার প্রমাণ মিলেছে হেফাজতের দেশব্যাপী তাণ্ডবে। সরকারি অফিস, হসপিটাল, প্রেসক্লাবসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেছে একই ভাবে হাটহাজারীতেও অগ্নিসংযোগ করে এবং ভাঙচুর করে সরকারি অফিস আদালতে হামলা চালিয়েছে।
একাত্তরের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। আমাদের চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এর জন্য প্রথমে প্রয়োজন নিজেদের ঐক্য। কোন ব্যক্তি স্বার্থ, লোভ- লালসায় নিজেদের মধ্যে ভাঙ্গন ধরা যাবেনা। ব্রাম্মনবাড়িয়ায় হামলার দিনে মৌলবাদীরা প্রচার দিয়েছে বদরের যুদ্ধ হয়েছে রমজান মাসে। এই রমজানে দ্বিতীয় বদরের যুদ্ধ চলছে। আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই বদরের যুদ্ধ হয়েছিল কাফের মুশরিকদের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধ হচ্ছে কাদের বিরুদ্ধে? বর্তমান সরকার প্রতিটি উপজেলায় মোট ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছে, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো, তাদের ডিগ্রির কোন স্বীকৃতি ছিল না। যে কারণে তারা কোন চাকরি পেতো না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি শিক্ষার্থীদের দাওরায়ে ডিগ্রীকে মাস্টার্স ডিগ্রির মর্যাদা দিয়েছেন ।
তিনি আরো বলেন আমি এমপি, আমি ইজারাদার নই। হাট-ঘাট, রেজিস্ট্রি অফিস, টিআর কাবিখার গম ইজারা দিতে আমি আসিনি। কোন নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য যেনো আমাদের কলুষিত করতে না পারে। কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলি যার যার সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে জীবন-জীবিকা করুন। অসৎ পথে চলার চেষ্টা করবেন না। নেতা যদি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকেন তাহলে কর্মীরা কি হবে? তাই আমি সৎ থাকলে আমরা কর্মীরাও সৎ থাকবে। কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে, হানাহানি না করে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকুন, ঐক্যের ফল , ধৈর্যের মূল্যায়ন একদিন হবেই। আমাকে অনেক রাজনৈতিক সংগঠন অনেক প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল ছিলাম । কোন লোভ লালসা আমাকে আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। যে কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার মূল্যায়ন করেছেন। জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদন করেছি কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার আশা নই। আধুনিক ও উন্নত দৌলতপুর গড়াই আমার লক্ষ্য। স্বাধীনতার ৫১ বছরে দৌলতপুর ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত। এই অঞ্চলের মানুষ ছিল উপেক্ষিত। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি জননেতা আঃকাঃমঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপি বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বহুতল বিশিষ্ট সুপার মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কে তিনি একটি ডিজিটাল ল্যাব উপহার দেন। সেই সাথে চারতলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন শিক্ষা ভবন হিসেবে অনুমোদন ও সুপারিশ করেন। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রথম কোনো সংসদ সদস্য বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম সহ সকল সদস্য, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সংসদ সদস্যের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।