ডন ডেস্ক
কুষ্টিয়া মনোহরদিয়া ইউপির লম্পট সুরুজ নিজেকে নেতা দাবি করে কিন্তু আসলে সে কোন নেতা না মহিলার সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় জনতার হাতে আটক। কুষ্টিয়া মনোহরদিয়া ইউনিয়নের নব্য আওয়ামীলীগ নেতা মামুন হাসান সুরুজ এক মহিলার সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয় পরবর্তীতে গণধোলাই খেয়ে দু”জনেই দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উক্ত ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের সাবেক শওকত মেম্বারের ছেলে ও মনোহরদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদের ভাতিজা ও একসময়ের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের কুখ্যাত ক্যাডার আনিচের (বিএনপি সরকারের সময় ছাত্রলীগের মিছিলের ওপর গুলি করা সেই আনিচ) ছোট ভাই মামুন হাসান সুরুজ আজ শনিবার দুপুরে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় এলাকাবাসীর হাতে গণধোলাই খেয়ে পালিয়ে যান। সূত্র মতে জানা গেছে, উক্ত ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বেপারী পাড়ার ভরত স্যারের বাড়ির পাশে দুঃসম্পর্কের এক নানীর বাড়িতে একটি মেয়ে সহ ঘরের মধ্যে জনতা আটক করে। ওই সময় তাকে এবং উক্ত মহিলা কে আটক করার চেষ্টা করলেও মেয়েটির আগেই দৌড়ে পালিয়ে যায় পরবর্তীতে এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেন।এলাকাবাসীর তথ্যমতে আরো জানা যায় বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা সুরুজের গোটা পরিবারটাই শিবির, জামাত ও বিএনপি পন্থী। তার আপন ভাই আনিচ, সে একজন শিবির ক্যাডার বর্তমানে পলাতক রয়েছে। বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ তিন ভায়ের মধ্যে তিনি আওয়ামী লীগ করেন, এক ভাই বিএনপি করেন অন্য আরেক ভাই জামাতের বড় নেতা। অন্যদিকে সুরুজের পিতা একজন জামাত নেতা হিসেবে মেম্বার হয়েছিলেন। এই গোটা পরিবারটা বর্তমানে জামাত শিবির ও বিএনপি’র লেবাস পরিবর্তন করতে ভর করেন ক্ষমতাসীনদলের উপর। এসকল অনুপ্রবেশকারী নেতারা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে ধর্ষক সুরুজ কিছুদিন আগেও শিবিরের একজন ক্যাডার ছিল। সে নিজের পিঠ বাঁচাতে বর্তমানে বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে তার ফেসবুকে পোস্ট করে ছাত্রলীগ নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এলাকাবাসী এটাও জানান, এই সুরুজ দীর্ঘদিন ধরে ভবানীপুর গ্রামের কথিত এক নানির বাড়িতে প্রায় দিনই বিভিন্ন মহিলাদের কে এনে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। আজ দুপুরে এলাকাবাসী সুযোগ বুঝে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার করলেও গণধুলাই খাওয়ার পর তাকে ধরে রাখতে পারেনি সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে তার আপন চাচা মনোহরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে অন্য জনকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান। ফোন রিসিভ করা ওই ব্যক্তিকে সুরুজের বিষয়টা জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলেন বিষয়টা আমরা জানি। এবং মেম্বার সাহেব আসলে আমি তাকে বলছি এই বলে লাইন কেটে দেন।
এলাকাবাসী চরম ক্ষোভের মুখে প্রতিবেদককে বলেন, নব্য ছাত্রলীগ নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখা এক চরিত্রহীন লম্পট নামে এলাকায় পরিচিত লাভ করা এই সুরুজের বিরুদ্ধে। তাকে ছাত্রলীগের বা ক্ষমতাসীন দলের কোন পদে যেন তাকে আসিন না করেন এ জন্য মাননীয় কুষ্টিয়া সদর এমপি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেনে কুষ্টিয়া মনোহরদিয়া এলাক বাসি।