নিজস্ব প্রতিবেদক:-
কুষ্টিয়ার আড়ুয়াপাড়ার ভোলানাথ পাল লেনের স্বপন দত্ত নিজ বাড়িতে ৪৪০ ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন ব্যবহার করে গম ভাঙ্গিয়ে ভূষি বানিয়ে বিভিন্ন নামী দামী ব্যান্ডের নামে তা গো-খাদ্য হিসেবে বাজারজাত করছে। কুষ্টিয়া পৌরসভা থেকে কোন ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক গো-খাদ্য বানানোর জন্য যে সকল আনুষ্ঠানিকতার দরকার হয় কোন কিছুই নেই স্বপন দত্তের। এ বিষয়ে তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার কোন প্রতিষ্ঠান নেই বাড়িতে গম ভাঙায়। এদিকে এলাকাবাসী বলছে, মধ্যরাতে চরম শব্দদূষণ করে এলাকায় ধুলো ঝড়ের সৃষ্টি করে গো-খাদ্য বানায় স্বপন দত্ত। কেউ তার বিরোধীতা করলে তিনি তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দেন দরবার করে বেড়ান। এক সময় তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করা তপন জানায়, আমি স্বপন দত্তের কারখানায় কাজ করতাম। তিনি পচা গম কিনে নিয়ে এসে তা দিয়ে জোড়া ঘোড়া, গাভী মার্কা সহ বিভিন্ন ব্যান্ডের গো খাদ্য তৈরী করে। তপন জানায়, পোকা পচা গম মেশিনে দিয়ে ভূষি বানিয়ে তা চকচকে প্যাকেটে বাজারজাত করে স্বপন দত্ত। তপন আরো বলে প্রথম দিকে আমি জানতাম না যে এটি ভেজাল করা প্রতিষ্ঠান পরে জানতে পারলে ওই কাজ ছেড়ে দিয়ে এখন রিক্সা চালায়। এদিকে স্বপন দত্তের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের অভিযোগ বিস্তর। কারোর সাথে কথাকাটাকাটি হলে স্বপন চলে যায় থানায়। নিজের বউ মাটির রাস্তায় পড়ে গেলে তিনি থানায় গিয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে বৌ পেটানোর অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসে অভিযোগ মিথ্যা। বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে স্বপন প্রতিবেশী এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে বলেও জানা যায়। স্বপন দত্তের কারবার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে নিজ বাড়িতে একটি শক্তিশালী ক্রাসার মেশিন বসিয়ে পচা গম ক্রাশ করে গো-খাদ্য তেরী করছে। ৪৪০ ভোল্টের বিদ্যুতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা থাকে। তাই কারখানায় ফায়ার ফাইটিংয়ের ব্যবস্থা করতে হয়। স্বপন দত্তের কারখানায় ফায়ার গুয়েসারও নেই,ফায়ার লাইসেন্সও তার নেই। এবিষয়ে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্ত্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাগজপত্র করে যারা ব্যবসা করে তাদের হিসেব রয়েছে ফায়ার সার্ভিস দপ্তরে। যদি কেউ গোপনে কোন কারখানা পরিচালনা করেন তা তাদের জানার কথা নয়। তবে সন্ধান পেলে অভিযান চালানো হবে। জানা যায়, গো-খাদ্য তৈরী করে প্যাকেটজাত করতে হলে অনুমোদন লাগে পশু সম্পদ অধিদপ্তরের। স্বপন দত্ত সেই কাজটিও করেননি। তার শব্দদূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার মানুষ। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গো-খাদ্য ক্রেতারা। অপরদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ভুক্তভোগী মানুষ জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।