জান্নাতুল ফেরদৌসঃ
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আচ্ছালামু আলাইকুম।
আমি হাজি মোঃ শফিকুল ইসলাম, পিতা- মৃত মেহের আলী প্রামাণিক মাতা- মৃত ফজিলা খাতুন, সাং- বাহিরচর ১২ দাগ, পোষ্ট- বাহিরচর, থানা/উপজেলা- ভেড়ামারা, জেলা- কুষ্টিয়া গতকাল সোমবার ৩১ শে মে সন্ধ্যায় ভেড়ামারা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে মো: আতিয়ার রহমান, পিতা- মৃত আব্দুস সোবহান বিশ্বাস, সাং- বাহিরচর ১২ দাগ, উত্তরপাড়া, পোষ্ট- বাহিরচর, থানা/উপজেলা- ভেড়ামারা, জেলা কুষ্টিয়া কর্তৃক উপস্থাপিত মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে আমার বক্তব্য উপস্থাপনের নিমিত্তে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আপনাদের ভেড়ামারা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হলাম। সাংবাদিক সম্মেলনে আতিয়ার রহমান আমার ভাতিজা ব্যক্তিবর্গ ১) মো: রতন প্রামানিক, পিতা- মো: সাহেব আলী, সাং- ১২ দাগ, ২) মো: রকি সর্দার, পিতা- মৃত জেমি সর্দার, সাং- ১২দাগ, উভয় থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়াদের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা উল্লেখ পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে মনগড়া ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন। উক্ত আপত্তিকর বক্তব্যের আমি তীব্র নিন্দা জানাই ও প্রত্যাখ্যান করি। আমার ভাতিজা রতন একজন স্বনামধন্য ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক ও যুব নেতৃত্ব। তার মানহানি আমরা মেন নেবোনা। এমতাবস্থায়, প্রকৃত ঘটনা আপনাদের মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরছি-আজ থেকে ৫০ বছর যাবৎ বিবাদমান জমিতে উক্ত আতিয়ারের কোন দখল নাই। মরহুম মজিবুল হক মাঙ্গন সাহেবের জীবদ্দশায় তিনি এবং পরবর্তীতে মরহুম আলহাজ্ব আবু বক্কর সিদ্দিক এর নেতৃত্বে ও সভাপতিত্বে জনপ্রিয় আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব লুঙ্গীওয়ালার ওরস শরীফ অনুষ্ঠানের স্থল হিসেবে চিন্হিত ও ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এলাকার স্বনামধন্য মুরুব্বী স্থানীয় উক্ত দুই গণ্য মান্য ব্যক্তি গত হবার পর এলাকাবাসী ও দুর –দুরান্তের ভক্তদের পক্ষে আমি উক্ত ওরশস্থলের দেখাশোনা করি। প্রতি বছর ২৬শে ফাল্গুন তারিখে দিনব্যাপী এলাকাবাসী ওরস মোবারকে অংশ নেয়। গরু –খাসির গোস্ত দিয়ে রান্না করা তবারক বিতরণ করা হয়। এছাড়া উক্ত জায়গায় একটি মসজিদ রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিকট থেকে চর রুপপুর মৌজার ৪৪৩/এ ও ৪৪৮/এ দাগে ২.১৭ একর জমি ২০০৮ ইং সালে কৃষি আবাদের নিমিত্তে লীজ গ্রহণ করার কথা বলেছেন কিন্তু তিনি বিগত ১২ বছরে সেখানে কোন কৃষি ফসলের চাষ কেন করেননি? আপনাদের মাধ্যমে এই প্রশ্নটি উত্থাপন করতে চাই। তিনি তার অর্ধেক জমি বেদখলের দাবি করেছেন এবং গত ২০২০ইং সালের মার্চ মাসে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের কারণে তিনি বাড়ী আসতে না পারার কারণে উক্ত লীজকৃত জমিতে তার রোপনকৃত বাঁশের ঝাঁড়, ইপিলিপিল বাগান, তথা সবুজ বনায়ন বল পূর্বক ভাবে কেটে বিক্রি করে দেয় বলে যে দাবি করেছেন তা মনগড়া ও ঢাহা মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। অর্ধেক অংশ বেদখলে থাকলে বাকী অর্ধেক অংশ তো তার দখলে থাকার কথা কিন্তু কোন সম্পত্তির উপর তার কোন দখল ওখানে নেই কারণ প্রকৃত সত্য এই যে, তার কোন সম্পত্তিই ওখানে নেই। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। সেই সুবাদে পদের অপব্যহার করে মসজিদ ও ওরসস্থলের মত পবিত্র জায়গা-জমি নিয়ে অযথা বিভ্রান্তিকর তখ্য ছড়িয়ে সাংবাদিক ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার অশুভ লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন যে, তিনি ঢাকায় থাকেন। তাহলে তাকে এখান থেকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেওয়া কিভাবে সম্ভব?
সাংবাদিক বন্ধুরা, আপনারা সমাজের ন্যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠস্বর। সে কারণে প্রকৃত সত্য তথ্য উদঘাটনের মাধ্যমে সঠিক ঘটনা পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করবেন, সে প্রত্যাশা করি। সেই সাথে আমার ভাতিজা রতন প্রামাণিকের বিরুদ্ধে মানহানীকর মিথ্যা বক্তব্য প্রদান ও ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করায় উক্ত বিষয়ে আপনাদের মাধ্যমে সরকারের আইন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিগনের সহযোগিতা কামনা করছি।
আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের বক্তব্য শেষ করছি।
ধন্যবাদান্তে
মোঃ শফিকুল ইসলাম,
পিতা- মৃত মেহের আলী প্রামাণিক
মাতা- মৃত ফজিলা খাতুন,
সাং- বাহিরচর ১২ দাগ, উত্তরপাড়া,
পোষ্ট- বাহিরচর, থানা/উপজেলা- ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া