কুমারখালী প্রতিনিধি:-
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় সড়কের ১৮ টি মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার গাছ মাত্র ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার গাছ কাটা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে গাছ কাটা বন্ধ ও কাটা গাছ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
ঘটনাটি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের রসাইমোড় টু কুঠিবাড়ি গ্রামীণ সড়কে ঘটেছে। গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক চেয়ারম্যান মৃত হামিদুর রহমানের ভাই হানিফের ছেলে উজ্জল ও ফাকের এর ছেলে রকির বিরুদ্ধে।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রসাইমোড় সড়কের মেহগনি গাছ কাটছেন কয়েকজন শ্রমিক। এবং ১০ টি বড় বড় মেহগনি গাছ মাটিতে পরে থাকতে। এসময় গাছকাটা শ্রমিক রফিক বলেন, হামিদুর চেয়ারম্যানের ভাতিজা উজ্জল ও রকির নিকট থেকে সড়কের গাছ গুলো কেনা হয়েছে। গাছ গুলো আশি হাজার টাকায় কিনেছে শিলাইদহের আড়পাড়ার আজিজ মিস্ত্রি। আমরা তার শ্রমিক হিসেবে গাছ কাটছি। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে ১৮ টি গাছ কাটা হয়েছে। কিছু সড়িয়ে নিয়েছি। কিছু পরে আছে মাটিতে। বাকী গুলোর কাটাকাটি চলছে। গাছ কাটার বিষয়ে চেয়ারম্যানের ভাতিজা উজ্জল বলেন, গাছ গুলো আমরা লাগিয়েছি। আমরা কাটছি। কার কি করার আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, খবর পেয়ে ভূমি অফিসের স্টাফ পাঠিয়েছি। পুলিশকেও গাছ গুলো জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাপসন সড়কের মেহগনি গাছ বিক্রি করে দিয়েছেচেয়ারম্যানের ভাতিজা উজ্জ্বল ও রকি।