ডন ডেস্ক :-
কুষ্টিয়ার ৬৪/১ অর্জন আগরওয়ালা সড়কে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিক। সেবার নামে এ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলছে গলাকাটা রমরমা বাণিজ্য। ফলে সাধারণ মানুষ টাকা খরচ করেও উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের গড়ে ওঠে এই বেসরকারি ক্লিনিকটি। মালিক ও পরিচালক আনোয়ার,স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো অনুমোদন ছাড়াই ক্লিনিকটি চলু করা হয়। ইচ্ছামতো নিয়ম-কানুন তৈরি করে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ক্লিনিকটি। নেয়া হচ্ছে ইচ্ছামাফিক ফি। হাতুড়ে টেকনিশিয়ানরা অনেক ক্ষেত্রেই দিচ্ছেন মনগড়া রিপোর্ট।কোনো লাইসেন্স নেই। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তাদের এ কর্মকাণ্ড চালছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই নিয়মিত চলছে রোগী দেখা থেকে শুরু করে অপারেশন পর্যন্ত। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। নেই কোনো জরুরি বিভাগ,নেই রোগ নির্ণয়ের মানসম্মত যন্ত্রপাতি, পরীক্ষাগার বা ল্যাব টেকনোলজিস্ট। মাঝেমধ্যে ধার করা পার্টটাইম চিকিৎসক দিয়ে চলছে জটিল অপারেশনসহ নানা চিকিৎসা। কম বেতনের অনভিজ্ঞ নার্স, আয়া ও দারোয়ানই হচ্ছে এ ক্লিনিকের ভরসা। কম্পিউটারাইজড,পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ও অত্যাধুনিক নামীদামি চিকিৎসকদের নাম সম্বলিত চোখ ধাঁধানো ব্যানারসহ ডিজিটাল সাইন বোর্ড সর্বস্ব এ ক্লিনিকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য এসে অপচিকিৎসার জালে আটকা পড়ছেন। রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসার কথা মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে বলা হলেও তাদের কেউ কেউ মাসে দু-একবার এসে অপারেশন করে চলে যান। এ ক্লিনিকে নিয়মিত কোনো চিকিৎসক থাকেন না। এসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম ভাঙিয়ে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। জেলা কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত মনিটরিং কিংবা জবাবদিহি নেই, নেই কোনো নজরদারি। অভিযুক্ত রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিকের পরিচালাক আনোয়ারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাদের সকল কাগজপত্র আছে আমাদের ক্লিনিক বৈধ কিন্তু কোন বৈধ নথি দেখাতে পারনি। সেই সাথে হালসা ক্লিনিক নামক আরেকটি অনুমোদন বিহীন ক্লিনিক বীরদর্পে রুগি দেখা থেকে শুরু করে অপারেশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিচ্ছে। এই বিষয়ে মিরপুর ইউএনও মহোদয় সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি জানান অনুমোদন বিহীন ক্লিনিকদের বিরুদ্ধে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যাবস্হা নেবো। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জেন ডা:এইচ,এম, আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিকের সহ হালসা ক্লিনিকের কাগজপত্র বৈধ আছে কিনা আমরা তদন্ত করে দেখব। তিনি আরো বলেন, সব অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রগন করবো।