ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ায় এখন করোনা রোগী বাড়ার হার ঊর্ধ্বমুখী।
এই মুহূর্তে লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই। সেটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলানো যাবে না।আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, যে হারে করোনা পজিটিভের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে মানুষকে অন্তত এক থেকে দুই সপ্তাহ কঠোরভাবে ঘরে রাখতে হবে। তাহলে করোনার ঊর্ধ্বমুখী হার ঠেকানো সম্ভব।কুষ্টিয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।সভার শুরুতেই জেলার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি।হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স প্রস্তুত। কিন্তু অবকাঠামো সমস্যা। রোগী নিয়ে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির বলেন, ‘করোনার মতো ভাইরাস প্রতিরোধে দুটি উপায় আছে। এক হলো টিকা দান, অন্যটি লকডাউন। যেহেতু টিকা কি অবস্থা আমরা সবাই জানি। তাই লকডাউন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, যাঁরা পজিটিভ হবেন, শুধু তাঁদের বাড়ি লকডাউনের আওতায় আনা যায়।আমরা প্রয়োজনে খাদ্য পজিটিভ রুগীর বাড়ীতে খাদ্য সরবারহ করবো । তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্তে গেলে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্তে গেলে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে বলে জানান কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। তিনি বলেন, যাঁরা পজিটিভ হবেন, শুধু তাঁদের বাড়ি লকডাউনের আওতায় আনা যায়। সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন, মেডিসিন বিভাগের প্রধান সালেক মাসুদ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির, কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব কেপিসি’র সভাপতি হাজী রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব,সিনিয়র সহ সভাপতি মীর আল আরেফিন বাবু, কোষাধ্যক্ষ মিলন উল্লাহ,কুষ্টিয়া জেলা উইম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়সনের সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ,কুষ্টিয়া জেলা ইউনাইটেড অনলাইন প্রেস ক্লাবের ধর্মীবিষয়ক সম্পাদক বক্তব্য রাখেন। এ সময় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়ার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সবার বক্তব্য শেষে বলেন,করোনা মহামারি রোধে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।তিনি আরো বলেন, সবার মতামত বিবেচনা করে এবং করোনা প্রতিরোধ কমিটিসহ অন্য সবার সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।উল্লেখ্য কুষ্টিয়ায় আজ ৪৭ জনের মধ্যে ২৪ জন করোনা পজিটিভ,নমুনা অনুপাতে আক্রান্ত হার ৫০ শতাংশের বেশি। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম একাত্তর ট্রিবিউনকে জানান,কুষ্টিয়ায় আজ ৫৫টি এনটিজেনের মধ্যে ১১ জন পজেটিভ।সর্বমোট ১১৬ জনের মধ্যে ৩৪ জন পজিটিভ।