বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু কুষ্টিয়া আইলচারা ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতা কলম জোয়ার্দার এর খুটির জোর কোথায় শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা মাগুরা ও ঝিনাইদহে সড়কে আট ঘন্টার ব্যবধানে নিহত -৫ কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ার নির্জন (বিএ-১১৪৫৩) শাহাদাত বরণ করেছেন হাটশহরিপুর ফরাজিপাড়ায় বসতবাড়িতে লুটপাট’ থানায় অভিযোগ জনি হত্যা চেষ্টা মামলায় ০৩ পৌর কাউন্সিলর গ্রেফতার

করোনার থাবায় বিপর্যস্ত রাজশাহী অঞ্চল

Reporter Name / ৫৪২ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১, ৭:৫৬ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক:-

করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের পর থেকে হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ভর্তি হওয়ার হার বেড়েছে। হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন,ঈদের দিন হাসপাতালে কোভিড রোগী ছিল ৭৭ জন। ঈদের পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করে। গত কিছুদিন ধরে চাপ অনেক বেড়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে বেশি। ডা. ফেরদৌস জানান বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত হয়ে ও কোভিড উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা, সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ এলাকা থেকে গুরুতর অসুস্থ রোগীরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় সেখানকার কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
যে কারণে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রায় সব শয্যাই পূর্ণ। ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন,আমাদের ২৩২টি শয্যার ২২৫টিই পূর্ণ। ১৭টি আইসিইউ বেডের সবগুলোই পূর্ণ রয়েছে। এরপরও রোগী আসলে ফ্লোরেই তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের এখানে পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার এখন ৩০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। কখনো কখনো এই হার ৪০ শতাংশের ওপরও উঠে যায়। সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগা জেলাগুলোতে আরটিপিসিআরসহ অ্যান্টিজেন টেস্টও করা হচ্ছিল। আর আশেপাশের কয়েকটি জেলার নমুনা নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে আরটিপিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে। এই কারণেও শনাক্তের হার অপেক্ষাকৃত বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
তবে কোভিড রোগীদের চাপ সামাল দিতে এরই মধ্যে একটি সাধারণ ওয়ার্ডকে কোভিড ওয়ার্ডে রুপান্তরিত করা হচ্ছে এবং নতুন চিকিৎসকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান ডা. ফেরদৌস। তবে রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টকে দায়ী মনে করছেন চিকিৎসকরা। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসা রোগীদের অধিকাংশ ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ডা. ফেরদৌস। শুক্রবার আইইডিসিআর একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে নমুনা হিসেবে নেয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬ জন কোভিড রোগীর ১৫ জনের নমুনাতেই ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ডা. ফেরদৌস বলেন,এখন যেসব রোগী আসছে, তাদের অধিকাংশেরই ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে হঠাৎ করে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাচ্ছে। এই ধরনের রোগীরাই মারা যাচ্ছে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ৯জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের। ডা. ফেরদৌস জানান গুরুতর অসুস্থ রোগী ছাড়া হাসপাতালে কোনো কোভিড রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। সাধারণ উপসর্গসহ রোগীদের বাসায় রেখেই চিকিৎসা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর