ডন ডেস্ক:-
বিয়ের পর থেকেই এএসআই সৌমেন রায় তার স্ত্রী আসমাকে নির্মমভাবে নির্যাতন ও মারধর করতেন। কিছুদিন আগেও খুলনা থেকে কুষ্টিয়া এসে আসমাকে মারধর করে খুলনায় চলে যান। খুলনা থেকে কুষ্টিয়ায় এসে তিনজনকে হত্যা করেন এএসআই সৌমেন।
নিহত আসমার ভাই হাসান আলী বলেন, আমার আপু আসমার আগে দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। নিহত রবিন তার দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান। সৌমেন আমার আপুর তৃতীয় স্বামী। সৌমেনেরও একটি সংসার রয়েছে। সেই স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়েসন্তান রয়েছে। সৌমেন সংসার নিয়ে খুলনায় চাকরি করেন। আমার আপু আমাদের সঙ্গে কুষ্টিয়ার বাবরআলী গেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সৌমেনকে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগাজিনসহ আটক করেছে। আসমা কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের নাতুড়িয়া গ্রামের মেজবাহ আলীর মেয়ে। এবং নিহত রবিন আসমার দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান। আর নিহত শাকিল বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার পদে (ডিএসও) চাকরি করতেন। জেলার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শাওতা গ্রামের মেসবাহ আলীর ছেলে তিনি। আসমার বাড়িও একই উপজেলায়। আর সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার আড়পাড়ায়।