ডন ডেস্ক:-
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। এই অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে। কুষ্টিয়া শহরের মোল্লাতেঘরিয়া মোড়ে লকডাউন চেকপোস্ট পরিদর্শন ও মোল্লাতেঘরিয়া, জেলখানা মোড়, হাউজিং কদমতলা মোড়, নিশান মোড় এলাকায় করোনা ভাইরাস বিরোধী সচেতনতা মুলক প্রচারনা শেষে মোল্লাতেঘরিয়া মোড়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, অদৃশ্য শত্রু বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ সংহার করছে। এই শত্রু মোকাবেলার একটাই পথ তাহলো ঘরে থাকা। ঘরের বাইরে না যাওয়া। তিনি আরও বলেন, সকল মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। কারন ছাড়া বাড়ির বাইরে এলেই তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠাবে পুলিশ। মানুষের জীবন বাঁচাতে লকডাউনের বিকল্প নেই। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম আরও বলেন, আগে জীবন, তারপরে জীবিকা। জীবন না বাঁচলে জীবিকা দিয়ে কি হবে? সারাজীবন কাজ করলেন এই লকডাউনের কয়দিন কাজ না করলে, বাইরে না গেলে তাতে ক্ষতি কি? বরং জীবনের সবচেয়ে বড় উপকার হবে। জীবন বাঁচবে, পরিবার বাঁচবে, সমাজ বাঁচবে। কুষ্টিয়ায় চতুর্থ দিনে লকডাউন শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কঠোর ভুমিকায় মাঠে জেলা পুলিশ। কুষ্টিয়াতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২০ জুন হতে ২৭ জুন পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা, শপিংমল, দোকান, রেস্টুরেন্ট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র, জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লার সকল ধরণের গণপরিবহণ চলাচলের উপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ বিধি নিষেধ কুষ্টিয়া পৌর এলাকাসহ সমগ্র জেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ বিধি নিষেধ শতভাগ বাস্তবায়নে পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার বহুমুখী পদক্ষেপের মধ্যে অন্য জেলা হতে কুষ্টিয়া জেলার প্রবেশদ্বারসহ কুষ্টিয়া পৌর সভার আওতাধীন এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলার প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন প্রবেশ পথে ৭ টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ বিধি নিষেধ কুষ্টিয়া পৌর এলাকাসহ সমগ্র জেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বর্ণিত বিধি নিষেধ শতভাগ বাস্তবায়নে আজ ২৪ জুন সকাল ১১ টায় জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার বহুমুখী পদক্ষেপের মধ্যে অন্য জেলা হতে কুষ্টিয়া জেলার প্রবেশদ্বারসহ কুষ্টিয়া পৌর সভার আওতাধীন এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় চলাচল বন্ধে ১. বারখাদা ত্রিমোহনী মোড় ২. বটতৈল মোড় ৩. লাহিনী বটতৈল মোড় ৪. মোল্লাতেঘরিয়া মোড় ৫. মিলপাড়া রেলক্রসিং ৬. হরিপুর শেখ রাসেল সংযোগ সেতুর উত্তর প্রান্ত ৭. জগতি রেল বাজারসহ বিভিন্ন প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এ ৭ টি চেকপোস্ট ছাড়াও শহরের মোল্লাতেঘরিয়া, পেয়ারাতলা, জেলখানামোড়, হাউজিং নিশানমোড়, মজমপুর রেলগেট, মঙ্গলবাড়ীয়া বাজার, থানা মোড়, বড় বাজার রেলগেট, চৌরহাস মোড়, ছয় রাস্তার মোড়, হরিপুর ব্রীজ, কাস্টম মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় কঠোরভাবে মনিটরিং পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি নিষেধ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চেক পোস্টগুলিতে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে তদারকী করছেন পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের প্রতি তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। চলমান পরিস্থিতিতে কেউ বিধি-নিষেধ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে পুলিশ সুপার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। লকডাউন তদাকরীকালে এ সময় উপস্থিত মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), ফরহাদ হোসেন খাঁন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা), রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর), আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল কুষ্টিয়াসহ সাব্বিরুল আলম,অফিসার ইনচার্জ, কুষ্টিয়া মডেল থানা, টিআই-১, সদর ট্রাফিক, কুষ্টিয়া, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ও জেলা পুলিশের সকল অফিসার ও ফোর্সগণ।