নিজস্ব প্রতিনিধি:-
কুষ্টিয়া খোকসা কমলাপুর গ্রামে মোঃ টুকু (৩৫)
পিতাঃ মৃত – মজনু আলী নামের এক মাদকাসক্ত ব্যক্তির হামলার শিকার হয়েছেন মোঃ এরশাদ আলী (৩৮) নামের এক যুবক। বৃহস্পতিবার (৮জুলাই) বিকেল চারটার দিকে খোকসা উপজেলার কমলাপুর বিবাদীর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটেছে । আহত মোঃ এরশাদ আলী কে (৩৮) খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে হাতুরী দিয়ে পেটানো হয়েছে তার পিঠে একটা গভীর ক্ষত হয়েছে বলে জানান। হামলার শিকার মোঃ এরশাদ আলী (৩৮) জানান, আমি বাড়ি হতে খোকসা বাজারে আসার পথিমধ্যে ‘মাদকাসক্ত মোঃ টুকু(৩৫) আমাকে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালীগালাজ করতে থাকে, আমি গালীগালাজ করতে নিষেধ করলে আমার ওপর হয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল ঘুসি মারলে আমি ভ্যান থেকে মাটিতে পড়ে যায় এমতাবস্থায় টুকু বাড়ি থেকে হাতুড়ি এনে আমকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য আমার মাথার দিকে লক্ষ্য করে আঘাত করলে আঘাত টি আমার ঘাড়ের নিচে লেগে মারাত্মক যখম হয়, এসময় আমি চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে এবং উদ্ধারকৃত অবস্থায় টুকু (৩৫) আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আমি আমার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি- বর্ণ আত্বীয়স্বজনদের সঙ্গে আলাপ করে খোকসা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। মোঃ এরশাদ আলীর বাবা মোঃ আজমত আলী ( আমো) বলেন, বেশ কিছু দিন আগে চুরির উদ্দেশ্য আমার বড় ছেলে এরশাদ এর বাড়ি ঢোকে এসময় তার ভাড়াটিয়া আর এরশাদ দুইজন মিলে চড় থাপ্পড় মারে এরই জের ধরে এঘটনা ঘটিয়েছে, আরো বলেন, এই এলাকায় টুকু নেশাখোর হিসাবে চিহ্নিত এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এলাকার যেকোন মানুষকে জিজ্ঞেস করলেই হবে। সে রাতে দিনে মদ, ইয়াবা, গাজা, ইত্যাদি নেশা গ্রহন করে রাতে বিরাতে মাতলামি করে, যার তার গায়ে হাত তুলে আসছে। এবং দীর্ঘদিন এসব কাজ করে গেলেও কেউ তার প্রতিবাদ না করায় সে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সে বলে থানা হাজত এগুলো আমার ….. অশ্লীল শব্দ। এবং সাম্প্রতিক সময়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার হলে তার মাদক বেচাকেনার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। ইনকামের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে চাঁদাবাজিতে নামে। কিছুদিন আগে মাদকাসক্ত হিসাবে তিনি এলাকায় পরিচিত। এ বিষয়ে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।