ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার মিরপুরে তরুণকে বেত্রাঘাত ও জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরানোর ১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।অভিযোগে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য নওয়াব আলীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।জানায়ায,স্থানীয় এক তরুণের (কৃষিশ্রমিক) সঙ্গে সাইফুল ইসলাম (২৫) একই এলাকার এক গৃহবধূর সেতু (২২) সঙ্গে সম্পর্ক হয়। পরকীয়ার অভিযোগে গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাঁকে ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে রাতেই ওই গৃহবধূসহ দুজনকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নওয়াব আলীর আসাননগর গ্রামের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের বলেন, নির্যাতনের শিকার কৃষিশ্রমিক ওই তরুণের একাধিক বিয়ের ঘটনা আছে। যে গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে তাঁর স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। রোববার সকাল ১০টার দিকে ওই ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে সালিস বসে। সালিসে ইউপি সদস্য নওয়াব আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম হোসেনসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন মাতব্বর উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ওই তরুণকে অভিযুক্ত করে বেতের লাঠির ৩০ আঘাত, গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরানো ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়। মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র কান্তি দাস বলেন, ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণকেও ডাকা হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার তরুন সাইফুল ইসলামের ভাই শফিকুল বাদী হয়ে ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছে এবং গৃহবধূর সেতু (২২) বাদী হয়ে লম্পট সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেন। দুটি মামলা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।