ডন ডেস্ক:-
অপঘাতে ছেলে হারানোর বেদনায় দরিদ্র ভ্যানচালক পিতার মন ভারাক্রান্ত,দেহ অবস! দু’চোখ জুড়ে অশ্রুর জলোচ্ছ্বাস! এই অবস্থায় আজ সকালে সন্তানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে অসহায় পিতা নিজেই।কিন্তু সেই সন্তানহারা দরিদ্র পিতার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মোটা অংকের টাকা কামিয়ে নিতে চেয়েছে হাসপাতালে কর্মরত ডোম,পুলিশ ও কর্তাব্যক্তিরা। তারা বিভিন্ন অজুহাতে দফায় দফায় টাকা নিয়ে নিয়ে সর্বশান্ত করে ফেলেছে অসহায় মানুষটিকে। শেষমেশ সন্তানের লাশ নিয়ে বাড়ির ফেলার গাড়ি ভাড়াও ছিলো না তাঁর কাছে।অথচ সেই মুহুর্তে ডোম দাবি করে ১০ হাজার টাকা। নইলে লাশ দিবে না সে।অনেক কাকুতি-মিনতি করলেও লাশ দেয় না।পাশে অবস্থানরত পুলিশও পিশাচ ডোমের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন।টাকা নেই একথা বলে লাভ নেই বলে জানান তারা(পুলিশ)।লাশ নিতে হলে টাকা দিতেই হবে। এছাড়াও প্রিয় সন্তানের নিথরদেহটি শোকাহত পিতার সামনেই কেটে ছিঁড়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করতে থাকে ওই ডোম!একজন পিতার কাছে সন্তানকে কাটাছিড়ার এ দৃশ্য কতটা ভয়াবহ ও কষ্টকর তা ওই পিতা ছাড়া আর কেউ অনুমানও করতে পারে না।এসময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও ডোমকে কোনপ্রকার বাঁধা দেয়নি। ছেলের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার ভাড়া নেই অথচ তার কাছে দাবী করা হয় ১০ হাজার টাকা কিভাবে দেবে হতদরিদ্র ভ্যানচালক পিতা?(!) টাকা দিতে না পারায় তের বছরের ছেলের লাশ সারাদিন আটকে রাখা হয় মর্গে! এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুল মোমেনের সাথে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।