নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম:-
গত বিধান নির্বাচন এ বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন লাভ করে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের মতো গদিতে বসেন পশ্চিম বাংলার তৃনমূল দলের সুপ্রিমো শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে বিরোধী দলের তোলা পশ্চিম বাংলার মাটিতে তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীরা। এবং বেশ কিছু যায়গায় ঘরছাড়া বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীরা। এবং ইতিমধ্যেই বিজেপি দলের নেতা ও কর্মীরা খুন হয়ে গেছে শাসক দলের কাছে। এবং বহু ঘরবাড়ি লুটপাট করে নিয়ে যায় শাসক তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা। অনেক যায়গায় বাড়ির মহিলাদের উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় শাসক তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ও ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এবং এখনো পর্যন্ত চলেছে তদন্ত যে তদন্তের ভার গ্রহণ করেছে ভারতের মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা ও ভারতের মহিলা কমিশনের সদস্যরা এবং ভারতের লিগ্যাল সার্ভিস কমিশন সদস্যরা। যা নিয়ে বহু বার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে খোদ প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ ধনকড়। তিনি পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার অধীনে আমলা এবং পুলিশের ভূমিকা পালন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই নিয়ে তৃনমূল দলের সাথে এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দলের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের সাথে তুমুল বাকযুদ্ধ চলেছে। এই মত অবস্থায় আজ পশ্চিম বাংলার বিধান পরিষদ গঠন করা নিয়ে পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ ধনকড় সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সন্ধ্যায় কলকাতার রাজভবনে পৌঁছায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল সাথে বিধান পরিষদ গঠন করা নিয়ে কথা বলে জানা গেছে। তবে পশ্চিম বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপি দলের নেতা ও বিধায়করা এই বিধান পরিষদ গঠন করা নিয়ে বিরোধিতা করছেন। কিন্তু এই বিধান পরিষদ গঠন করতে গেলে রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ ধনকড় এর সই ও অনুমোদন লাগবে। তার পর লোকসভায় ও রাজ্যসভায় পাশ হলে তবে আইন অনুসারে পশ্চিম বাংলায় বিধান পরিষদ গঠন হবে এটাই বলাবাহুল্য।