রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব:-
পুলিশ সদস্য মিতা'র অকাল মৃত্যুতে খুব কষ্ট পেলাম। চোখের সামনে বেড়ে ওঠা মেয়েটি এভাবে চলে গেলো। আমার সহধর্মিণী ডিউ বললো মিতা বেশ লম্বা আছে ওকে পুলিশে দিলে ভাল হয়। মিতাকে ডেকে ডিউ জিজ্ঞেস করেছে তুই পুলিশ হবি। ওতো মহা খুশি। একদিন কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সে পুলিশে লোক নিয়োগ হবে জেনে ডিউ আমাকে বারবার বলতে থাকে মিতার কথা। তখন পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম। তাকে জানানোর পর মিতা সত্যিই পুলিশ হলো। মিতা লম্বা, চড়া, লেখাপড়ায় বেশ ভাল ছিল। বিনা পয়সায় পুলিশে চাকুরী হলো, কেউ বিশ্বাস করেনা। মিতার পরিবার তো অবাক। পাড়া প্রতিবেশী জিজ্ঞেস করে মিতার বাবাকে কত টাকা লাগলো? তার পিতা যখন জানায় ১ টাকাও না। বিশ্বাস করেনা লোকজন। গোয়েন্দারা তদন্তে এসে মিতাকে জিজ্ঞেস করেছে আপা কত খরচ হলো? মিতা বলেছে সম্পুর্ন বিনা পয়সায়। আমার আংকেল সাংবাদিক। এসপি স্যারের সাথে ভাল সম্পর্ক এমনিই চাকরী হয়েছে। কেউ কেউ বলেছে মানতে পারলাম না আপা। কিছুতো লেগেছেই? মিতা তাদের বলেছে আমিও আগে আপনাদের মতই ভাবতাম। টাকা ছাড়া চাকুরী হয় না। কিন্তু আমি নিজে প্রমানিত, বিনা পয়সায় চাকুরী হয়। দেশে ভাল মানুষ আছে। রংপুরে দীর্ঘ ট্রেনিং শেষে রাজশাহী মেট্রোপলিটনে (আরএমপি) তে কর্মরত ছিলো। ২ বছর আগে আরেক পুলিশ সদস্যের সাথে ধুমধাম করে মিতার বিয়েও হলো। চার বছরের পুলিশ জীবনের অবসান ঘটিয়ে মাত্র ২৫ বছর বয়সে কিডনি সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়, বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসা চলছিল, চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৪ জুলাই দিবাগত রাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সকলকে ছেড়ে চলে যায় মিতা। নাছিমা আক্তার মিতার মৃত্যুতে কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একজন সম্ভাবনাময় পুলিশ সদস্যের এই অকাল মৃত্যু মানতে সবার কষ্ট হচ্ছে। মহান আল্লাহ্ পাক এই নিষ্পাপ মেয়েটিকে বেহেশত নছিব করুন। আমীন।
উপদেষ্টা: বেলাল আহাম্মেদ, প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাহিদুল হক ডন, বার্তা সম্পাদক : যাবির মাহমুদ
সম্পাদকীয় কার্যালয়: মঙ্গলবাড়িয়া বাজার, কুষ্টিয়া।
মোবাইল : ০১৭১২-৮১৪০৫৯,ইমেইল : thedonnews24@gmail.com।
ই-পেপার কপি