নিজস্ব প্রতিবেদক:-
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন সফল করতে আজ ২৩ জুলাই সকালে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, এনএসআই, আনসার কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমনের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্তিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ২৩ জুলাই সকাল ৬টা হতে ৫ আগস্ট, ২০২১ মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন সংক্রান্তে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় সর্বস্মতিক্রমে সড়ক, রেল ও নৌ পথে পরিবহণ, পর্যটন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, শপিংমল, পশুহাট, বন্ধ থাকবে মর্মে সিদ্ধান্তে গৃহিত হয়। এছাড়াও জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লার সকল ধরণের গণপরিবহণ চলাচলের উপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ বিধি নিষেধ কুষ্টিয়া পৌর এলাকাসহ সমগ্র জেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে বিধি নিষেধ আরোপকালীন প্রতি শুক্রবার, সোমবার এবং বুধবার সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উম্মুক্ত স্থানে সামাজিক দুরুত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচা বাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় বিক্রয় করা যাবে। জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। সভায়, পুলিশ সুপার খাইরুল আলম কোভিড -১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিধি নিষেধ শতভাগ বাস্তবায়নে জন্মযোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশ তথা জেলা পুলিশ সর্বাত্নক কাজ করছে মর্মে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, জেলার সকল থানা, তদন্ত কেন্দ্র, পুলিশ ক্যাম্প, বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশ সবাই করোনা প্রতিরোধে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর লকডাউন যে কোন মুল্যে সফল করতে সর্বদা মাঠে থাকবে। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়াকে বাঁচাতে কঠোর লকডাউনের বিকল্প নেই। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা হবে। সকলকে ঘরে থাকতে হবে। নিজে বাঁচুন, পরিবারকে বাঁচান, সমাজকে বাঁচান। তিনি আরো বলেন, জীবিকার চেয়ে জীবনের মুল্য অনেক বেশী। একটু কষ্ট হলেও এই দূর্যোগ মুহুর্ত্যটি ধৈর্য্যের সাথে মোকাবেলা করুন।