ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম:-
আজ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের এক রাজস্ব্য বিভাগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী দায়ের করা একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন এ রামন্নার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রশ্ন করলেন অভিযুক্ত এর স্ত্রী কে। বিগত, ২০০১,সালে, বিবাহ হয় ঔ দম্পতির। তার পর উভয়ের মধ্যে বনিবনা না হওয়াতে তার স্ত্রী, স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এবং খোরপোষ ও বেশি শাস্তির দাবিতে মামলা দায়ের করেন। এবং ঔ মামলায় অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের রাজস্ব্য দপ্তরের কর্মীর সাজা হয়। এবং, ২০০৩, সালে গুন্ডর ট্রায়াল কোটে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এবং সেখানে তার বিরুদ্ধে জেল হাজতে থাকার নির্দেশ দেন বিচারক। এবং তিনি জেল হাজতে থাকার সময় থেকে তার স্ত্রী ও পুত্রের জন্য খোরপোষ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঔ সাজা তার স্ত্রী কে খুশি করতে পারেনি। তাই তার স্বামী কে বেশি শাস্তির দাবিতে ও আরো বেশি খোরপোষ এর দাবিতে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেন। এবং ওখানে খুশি না হওয়াতে তিনি ফের ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কাছে আবেদন জানান। কিন্তু ঔ মহিলা তেলুগু ভাষায় কথা বলেন তাই তার বোঝাতে ভারতের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন এ রামন্নার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নেন যে তার স্বামী কে যেন তিনি মেনে নেন। এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। আজ ভারতের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন এ রামন্নার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের মধ্যে বিচারপতি শ্রী এ এস রোপান্না ও বিচারপতি শ্রী সূষকান্ত ডিভিশন বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নেন তার স্বামী কে বুঝিয়ে সুজিয়ে তার স্ত্রী কাছে ফিরিয়ে দেবেন। এবং ভারতের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন এ রামন্না তেলুগু ভাষায় কথা বলেন অভিযুক্তের স্ত্রী সাথে এবং তার স্ত্রী রাজি হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবার জন্য। এর পর কোন সমস্যা দেখা দিলে তাদেরকে জানাতে বললেন। এই রায়ের সাথে দুইটি দাম্পত্য জীবন ফিরে পেল। খুশি ভারতের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন এ রামন্নার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ।