নিজস্ব প্রতিবেদক:-
কুষ্টিয়া শেখ কামাল ষ্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা কুষ্টিয়ার আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম প্রধান অতিথি এবং পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম সভাপতি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন। সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম অনুষ্ঠানটি আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছোট বেলা থেকে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে লেখা – পড়া, খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি প্রাইমারী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করা অবস্থায় প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা কলেজের পূর্বপাকিস্তান ছাত্র সম্মেলনের প্রধান অতিথি পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্ণর মোনায়েম খানকে কালো পতাকা প্রদর্শন করেন, ১৯৬৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঢাকা কলেজের নর্থ হোস্টেলের সামনে শহীদ মিনার প্রস্তুত করেন এবং ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি মুক্তি যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর অন্যতম সংগঠক এবং যুদ্ধকালীন সময়ে মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফুটবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, ক্রিকেট প্রভৃতি ক্রীড়া ক্ষেত্রে পারদর্শী ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি একাধারে অভিনেতা, সংগিত শিল্পী ও সেতার বাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ শেখ কামাল ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম আরো বলেন তিনি সহ তার পরিবারের সকল সদস্যরা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ এত দিন উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছে যেত। অতঃপর বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর জীবদ্দশার উপর আলোচনা ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মকবুল হোসেন লাভলু, সহ-সভাপতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা কুষ্টিয়া ও সভাপতি খুলনা বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন, এডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থা কুষ্টিয়া সহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।