নিজস্ব প্রতিনিধি:-
রবিবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা এর ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, সেলাই মেশিন বিতরণ, আর্থিক সহায়তা প্রদান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গোপালগঞ্জ জেলা সরাসরি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এবং বাকি ৬৩ জেলার অতিথিগন জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত হয়ে এ প্রোগ্রাম প্রত্যক্ষ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি, প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সংযুক্ত হয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জীবন ও আদর্শের উপর বাঙ্গালী জাতির শিক্ষনীয় বিষয়ে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন বঙ্গবন্ধু অসংখ্য বার কারাবরণ করেন এবং তার অবর্তমানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা পরিবার দেখাশোনা করা, সন্তান লালন পালন করা, তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করাসহ বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গমাতার অবদান অপরিসীম। এ সময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ জন নারীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য “বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ” পদক ও “ই-পোস্টার” প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়াও বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে ২ হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে নগদ ২ হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতত্বে দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া এ সময় বলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে খুব কাছ থেকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন বিধায় আজ আমারা স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম বলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মিশনারী স্কুল থেকে শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করলেও তিনি অত্যন্ত জ্ঞানী, বুদ্ধিদীপ্ত, বিচক্ষণ, দায়িত্ববান ও ধৈর্যশীল নারী ছিলেন তাই তিনি বঙ্গবন্ধুর মত নেতাকে সব সময় সাহস,অনুপ্রেরণা ও সঠিক পরামর্শ প্রদান করতে পারতেন। পুলিশ সুপার আরো বলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা ৬ দফা আন্দোলন, ১১ দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন ৭ই মার্চের ভাষণ ও সর্বোপরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পিছনে বঙ্গবন্ধুকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে খোকসা উপজেলায় ৫টি, কুমারখালী ৭টি, ভেড়ামারায় ৫টি, দৌলতপুর ৬টি, মিরপুর ৭টি এবং সদর উপজেলায় ১২টি সহ সর্বমোট ৪২টি সেলাই মেশিন দুস্থ ও অসহায় নারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।