নিজস্ব প্রতিবেদক:-
দীর্ঘদিন লকডাউনের কারনে কার্যক্রম সীমিত থাকার পরে পুরোদমে খুলেছে কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। জেলার হাজার হাজার পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্যনীয়। এই সুযোগে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের জিম্মি করে কতিপয় আনসার সদস্য দিয়ে সহকারী পরিচালক নিজেই জড়িয়ে পড়েছেন ঘুষ বানিজ্যে। পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের বিভিন্ন ধরনের কাগজের কমতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। আর এই কাজে সহকারী পরিচালককে সরাসরি সহযোগিতা করছে পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত আনসার সদস্যরা। এ বিষয়ে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন লকডাউনের কারনে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম সীমিত থাকায় আমরা বিপাকে পড়েছিলাম। বর্তমানে অফিস খোলায় পাসপোর্টের কার্যক্রম করতে বিভিন্ন ধরনের কারন দেখিয়ে নানাভাবে আমাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে সারভার বন্ধ। আবার কখনো বলছে, কাগজপত্র কমপ্লিট হয়নি। দৌলতপুর থেকে আসা এক পাসপোর্ট প্রত্যাশী আরো জানায়, অফিসের গেটে আনসার সদস্যরা আমাদেরকে আড়ালে ডেকে সরাসরি ঘুষ দাবী করে বলছে, সব কাগজপত্র ঠিক হয়ে যাবে, সারভারেও কোনো সমস্যা থাকবে না, শুধু পাসপোর্ট প্রতি ১২শ থেকে ১৫শ টাকা দিতে হবে। যে আগে টাকা দিবে তার কাজ আগে হবে আর যে পরে টাকা দেবে তার কাজ পরে হবে, আর যে টাকা দেবে না তাকে অনিদিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের এমন বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে পাসপোর্ট অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গেটে অবস্থানকারী আনিস নামের এক আসনার সদস্য পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের আড়ালে ডেকে সরাসরি ঘুষ দাবী করছে এবং ঘুষের টাকা গ্রহন করছে।
এবিষয়ে ঘূষ গ্রহনকারী আনসার সদস্য আনিসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো ঘূষ দাবী করছি না। পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা খুশি হয়ে আমাকে মিষ্টি খেতে টাকা দিয়ে যাচ্ছে। অত:পর এক পাসপোর্ট প্রত্যাশীকে আনসার সদস্যসের সামনাসামনি করে ঘুষের টাকার বিষয়ে জিঞ্জাসাবাদ করলে, আনসার সদস্য সরাসরি সহকারী-পরিচালকের রুমে নিয়ে যায় সাংবাদিকদের এবং বলে এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, সব স্যার জানে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী-পরিচালক জাহিদুল হক বলেন, এই অফিসে ঘুষ বানিজ্য চলছে বলে আমি শুনেছি । তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তবে আপনারা যেহেতু ঘূষ বানিজ্যের প্রমানসহ আমার কাছে এসেছেন আমি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখেবো। এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়কে অবগত করার জন্য তার টেলিফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন করেও তা সম্ভব হয়নি।
(আগামীকাল পড়–ন, ঘুষের টাকা ভাগাভাগি করে কার টেবিলে কত জমা হয়)