সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজ সরকারি করনের দাবি কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে ভূমিদস্যুরাই এখন বিচারহীন অপরাধী দুই এএসআই হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা কুষ্টিয়ায় নিজের গলাই ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধার আত্মহত্যা কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-মা ও মেয়ের মৃত্যু চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না বুক ফেটে যাচ্ছে ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু

দৌলতপুরে দুর্নীতির মহোৎসব মেতেছে সমাজসেবা কর্মী তরিকুল ইসলাম

Reporter Name / ৬৯০ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

রাকিব হাসান, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:-

ভুক্তভোগীদের অভিযোগে, তদন্ত ভার দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপর,
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধিনে কর্মরত মোঃ তরিকুল ইসলাম, পদে একজন ফিল্ড সুপার ভাইজার। মাত্রা ছাড়িয়েছে তার ঘুষ বাণিজ্য, কোন কিছুতেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না তার, সে যেন মেতে উঠেছে দূর্নীতির এক মহা উৎসবে।অসহয় গরীব দুঃখী মানুষের জন্য বাংলাদেশ সরকারের চলমান একটি অনুদান পক্রিয়া। সামাজ সেবা অধিদফতরের মধ্যমে বিভিন্ন সময় আসা প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা।এই ভাতা পেতে হলে মাঠ কর্মী তরিকুল ইসলাম কে দিতে হয় নিদ্রিষ্ট পরিমান টাকা, তা না হলে মেলে না সেই ভাতা কার্ড।এলাকা ঘুরে মেলে তার সত্যতা, জানাযায় বিগত দিনে এই মাঠ কর্মী তরিকুল ইসলাম ১৪নং আড়িয়া ইউনিয়নে দৌলতপুর সামাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাঠ কর্মী হিসেবে দায়িক্ত পালন করেছিলেন। ঐ ইউনিয়নের বেশকিছু অসহায় মানুষের ভাতা কার্ড করে দিবে বলে ৫ থেকে ৭ হাজার করে টাকা নেয় তরিকুল ইসলাম।পরে দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস শেষে বছর চলে গেলেও ভুক্ত ভোগীদের জন্য মেলেনি ভাতা কার্ড। তেমনি একজন আড়িয়া ইউনিয়নের চকঘোগা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামে স্ত্রী শিরিনা খাতুন। শিরিনা খাতুন মূলত একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও চোখে কম দেখে, এমন অবস্থায় দারস্ত হয় একটি ভাতা কার্ডের জন্য তরিকুল ইসলামের কাছে, তরিকুল কার্ড করে দেবে বলে ভুক্তভোগী শিরিনার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয় কিন্তু বছর পার হলে মেলেনি সেই ভাতা কার্ড। প্রতিবেদক শিরিনা ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারে প্রায় বছর খানেক আগে কার্ড করে দিবে বলে তরিকুল ৫ হাজার টাকা নেয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত হয়নি সেই কার্ড
প্রতিবন্ধী সাহেদা খাতুন ও ১৪ নং আড়িয়া ইউনিয়নের চকঘোগা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। তার কাছ থেকেও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেবে বলে তরিকুল হাতিয়ে নেয় ৫ হাজার টাকা সর্বশেষ মন বোঝানোর জন্য তার হাতে ধরিয়ে দেয় নাগরিক সনদের একটি স্মার্ট কার্ড। যেটা দেখিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলে তরিকুল।একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য বছর ধরে প্রায় দিনই দৌলতপুর সমাজ সেবা অফিসের সামনে ধর্না দিয়েছিলো ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী সাহেদা খাতুন। প্রতিবেদকের সাথে সাহেদা খাতুনের কথা হলে, সাহেদা খাতুন জানান তরিকুলের হাতে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি প্রতিবন্ধী কার্ড কারার জন্য কিন্তু কার্ড পাওয়া তো দুরের কথা পুরো বছর ধরে বাড়ি থেকে দৌলতপুর যাওয়া আসা খরচ দিগুণ হয়ে গেছে কিন্তু আজো দেখা মেলেনি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ডের। ঐ একই ইউনিয়নে বসবাসরত ফুলচাঁন সর্দ্দারের ছেলে মোঃ আসাদুল সড়ক দুর্ঘটনা জনিত কারনে পঙ্গুত্ব বরণ করলে যোগাযোগ করে তরিকুলের সাথে, কার্ড করে দেবে বলে তার কাছ থেকে ০১ হাজার টাকা নেয় তরিকুল এবং তার সাথে শর্ত জুড়ে দেয় যে প্রথম বার কার্ড থেকে যে টাকা উত্তলিত হবে তার পুরোটাই নিয়ে নেবে তরিকুল এমন শর্তে রিতিমতো হতবাক হয়ে যায় আসাদুল।আসাদুল সে শর্তে রাজি না হওয়ায় আজো পর্যন্ত হয় নি ভাতা কার্ড, ফেরত পাইনি সেই ০১ হাজার টাকা। অনুসন্ধানে এমন একাধিক ব্যাক্তির সন্ধান পেয়েছে এই প্রতিবেদক যাদের কাছ থেকে কার্ড করে দেবে বলে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সমাজসেবার মাঠ কর্মী তরিকুল ইসলাম। তরিকুলের এমন প্রতারণার কারনে ভুক্তভোগী শিরিনার স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম ও প্রতিবন্ধী খাতুন বাদি হয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর, দৌলতপুর সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবর ও দৌলতপুর থানা অফিসার ইন্চার্জ বরাবর ১৮/০৮/২০২০ তরিখে পৃথক দু’টি অভিযোগ জমা দেয়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দৌলতপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খন্দকার শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন।দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খন্দকার শহীদুল ইসলামের সাথে কথা বলেলে তিনি বলেন, আমি তদন্তর জন্য দুটি অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েছি এবং সঠিক তদন্ত করে মূল ঘটনা সবার সামনে আনার চেষ্টা করছি। পরে প্রতিবেদক বিষয়টি নিয়ে দৌলতপুর উপজেলা সামাজ সেবায় দায়িক্ত রত অফিসার আতাউর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য একাধিকার বার তার মুঠো ফোনে কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর