ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ায় একদিনে পদ্মায় আরো ৮ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। আর পদ্মার প্রধান শাখা নদী গড়াইয়ে ১১ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পদ্মায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমা ১৪ দশমিক ২৫ মিটার। আগের দিনের চেয়ে এখানে আজ আরো ৮ সেন্টিমিটার কমে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৪ দশমিক ০৫ মিটার উচ্চতায়। আর গড়াই নদীতেও ১১ সেন্টিমিটার কমে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১২ দশমিক ৩৫ মিটার উচ্চতায়। এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ১০ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পদ্মায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে আগামী ২৮ আগস্ট থেকে আবার পানি বাড়তে পারে। যা ৩১ আগস্ট বিপৎসীমা অতিক্রম করে যাবে।কমতে থাকায় এই দুই নদীর উপকূলে ভাঙন বেড়েছে। মিরপুরের তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের নদীতীরবর্তি ছয় গ্রামে ব্যাপক ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে বসতবাড়ী, ফসলী জমিসহ বেশকিছু স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়কটি। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে অনেকের। অনেকেই বাড়িঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলছে। অন্যদিকে, উজানের ঢল আর পদ্মার পানিতে প্লাবিত হওয়া কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৪০টি গ্রামের বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হয়নি। এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে রামকৃষ্ণপুর, চিলমারি ইউনিয়নের ৪০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে এখানে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সেটি পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন সেখানকার বন্যা কবলিতরা। জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রস্তুত করা হয়েছে, দ্রুত পর্যাপ্ত ত্রাণ দেওয়া হবে।