ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম
গত তিন মাস আগে পেঠের জালায় কাজ খুজতে বের হয় ঢাকার এক জৈনিক মহিলা। তিনি কাজ খুজতে বের হয়ে সোজা চলে আসেন ঢাকার মিরপুরের মহিলা পাচারকারী দলের লিডার নাগিন সোহাম এর কাছে। তিনি এই লকডাউনের মধ্যে ঔ মহিলা কে ঢাকা থেকে সোজা বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরা থেকে ডালাল মারফত ভারতে পাচার করে দেয়। এবং ঔ মহিলা কে ডালাল মারফত কলকাতা থেকে সোজা পশ্চিম বাংলার উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি নিষিদ্ধ পল্লীতে পাঠিয়ে দেন। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে মেয়ের মা বাংলাদেশের পুলিশের সাহায্য নেন। কিন্তু তারা তাকে সাহায্য করে নি। অযথাই শেষ পর্যন্ত নিজে প্লান করে কাজের খোঁজ নিয়ে ঔ মহিলা পাচারকারী দলের অন্যতম লিডার নাগিন সোহাম এর কাছে চলে যান। তিনি তার মেয়ের মতো ভারতে পাঠিয়ে দেন চোরা পথে। ভারতে আসার পর পুরো সিনেমার কায়দায় মেয়ের খোঁজ নিয়ে প্রথমে দিল্লিতে যান। কিন্তু ওখানে গিয়ে কোন খোঁজ খবর না পাওয়াতে ফের কলকাতা ফিরে আসেন। শেষ চেষ্টা হিসেবে হাল না ছেড়ে একটি গোপন তথ্য সংগ্রহ করে তিনি খোঁজ পান তার মেয়ের। তার মেয়ে যে পশ্চিম বাংলার উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি নিশিদ্ধ পল্লীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি কলকাতা থেকে সোজা উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি তৃনমূল দলের আই এন টি টি ইউ সি নেতার সাহায্য নেয়। তিনি তার মেয়েকে উদ্ধার করতে জেলা পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাকে বহু কস্ট করে বের করে নিয়ে আসেন। মা মেয়েকে নিয়ে যখন ভারতে সীমান্ত অতিক্রম করতে যাবে তখন তাদের বাধা সৃষ্টি হয় ভিসা না থাকার কারণে। অবশেষে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা মানবিক হয় খবর দেন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যদের। দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মানবিক সাহায্য নিয়ে তারা এন্ট্রি ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এবং সোজা ভারত থেকে বাংলাদেশের ঢাকা তে গিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাহায্য নিয়ে ঔ মহিলা পাচারকারী দলের অন্যতম প্রধান নাগিন সোহাম কে গ্রেফতার করে। এবং গ্রেফতার করা ঔ মহিলার কাছ থেকে জানতে চাইছেন এই ঘটনার সাথে যুক্ত কারা আছেন।