ডন ডেস্ক:-
পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার হাইওয়ে পুলিশ নবরুপে সেজেছে। থানা কম্পাউন্ডের চেহারা যেমন পাল্টে দিয়েছেন ঠিক তেমনি পাল্টে দিয়েছেন এই থানার অতীতের সকল অভিযোগ ক্ষোভ ও গ্লানি। মানুষের সেবার স্থানে রুপান্তরিত করে তোলা হয়েছে। কেউ এখন এই থানায় গিয়ে কোন প্রকার হয়রানির শিকার হচ্ছেনা। খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। হাইওয়ে পুলিশের কোন সদস্যের বিরুদ্ধেও এখন মানুষের নেই কোন অভিযোগ। আর এ কাজটি করতে সক্ষম হয়েছেন কুষ্টিয়ার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন। সরেজমিনে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন মহাসড়কে ঘুরে বিভিন্ন পেশার লোকজনের সাথে আলাপকালে এসকল তথ্য পাওয়া গেছে। কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ভেতরে প্রবেশ করতে যেন অচেনা এক নতুন জায়গায় প্রবেশ করছি মনে হচ্ছিল। একান্ত আলাপকালে থানার ইনচার্জ জানান,অতীতে এই থানায় কে কি করেছে মানুষ কতটুকু সেবা পেয়েছে সেটা আমি বলতে চাইনা,আমি কতটুকু সেবা মানুষকে দিতে পারছি এবং পারবো সেটাই মূখ্য বিষয়। তিনি বলেন, মানুষকে সেবা দেওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। এই থানার সকল পুলিশ সদস্যকে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে,অবৈধপন্থা অবলম্বন করলে, মানুষকে সেবা থেকে বঞ্চিত করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানায় ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন। আমরা মানুষকে সেবা দিতে এসেছি,হয়রানি করতে নয়। জুলহাস উদ্দিন কুষ্টিয়া আসার পর থেকে কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার রুপ পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন করে যাচ্ছেন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ
কুষ্টিয়া-পাবনা কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের কুষ্টিয়া এলাকায় সকল কার্যক্রম নিজ হাতেই সুন্দর ভাবে সামাল দিচ্ছেন। কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারনে এখানকার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রন রয়েছে। প্রশাসনিক নির্দেশ অনুযায়ী কোনো ভাবেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না নিয়ম অমান্যকারীদের। কুষ্টিয়া বিভিন্নস্থানে প্রতিদিনই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন,এবং বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে দেখা হচ্ছে প্রতিটি যানবাহন কাগজ পত্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়ার হাইওয়ে থানা ইনচার্জ সহ পুলিশের প্রতিটি সদস্য করোনা সংক্রমণের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন সরকার ঘোষিত কোন প্রকার থ্রীহাইলার যানবাহন চলতে পারবেনা। তার পরও যদি এগুলো আমাদের অগোচরে মহাসড়কে উঠে এবং পাওয়া যায় তবে আমরা সেগুলো আটক করে মামলা দিচ্ছি। কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ তিনি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিটি পুলিশ সদস্যদের মত তিনি দায়িত্বে পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেশের এ দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি জেলা ভিত্তিক সংক্রমণ এড়াতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহন,কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ,কুষ্টিয়া-পাবনা কুষ্টিয়া- রাজবাড়ী মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়কে বিট পুলিশ রয়েছে কমিউনিটি পুলিশ এবং থানা পুলিশ সমন্বর করে কাজ করছে। সড়কে থ্রি হুইলার হুইলার,সিএনজি ,অটোরিকসা বের হওয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন,আমি যতদিন এই থানায় আছি থানার বিভিন্ন উন্নয়ন করে যাব।মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করনীয় সংক্রান্ত প্রশিক্ষন কর্মশালা দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের। থানার আশপাশে নিরাপদ সড়ক রাখার জন্য মাইকিং করে অবৈধ যানবাহন উঠতে নিষেধ করা হয়েছে।পুলিশ স্টাফদের অগ্নি নির্বাপক প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে।যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বিট পুলিশ গঠন করে অফিসার ও ফোর্সরা কমিনিটি পুলিশিং এর সাথে কাজ করে যাচ্ছে সবসময়। কুষ্টিয়ার এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী, চাকরীজীবি, রাজনৈতক দলের নেতৃবৃন্দ এবং পরিবহননেতাসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনের সাথে আলাপকালে তারা অকপটে স্বীকার করেন অতীতের সকল রেকর্ড ভংগ করে কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানাকে ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন থানাকে জনগনের সেবার মজলিস হিসেবে নবরুপ দিয়েছেন। ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন এর সকল কর্মকান্ড দেখে সকল পেশার লোক তাকে মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।