প্রতিবেদক:-
কুষ্টিয়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ নেতা আমিনুল ইসলাম মুকুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, মুকুলের ছেলের নামের ঠিকাদারী লাইসেন্স সৈকত এন্টারপ্রাইজকে একের পর এক কাজ দিয়ে চলেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। দরপত্রের সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন আগে থেকেই জেনে যাচ্ছে সৈকত এন্টারপ্রাইজ। সরকারী বিধি মোতাবেক কাজের যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা যাচাই করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯ টি কাজ পেয়েছে একটি সুনামধন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এই কাজ বাতিলের জন্য সৈকত এন্টারপ্রাইজের ৫ বছরের আগের পুরাতন কাজের অভিজ্ঞতা সনদ তৈরী করে কাজ দেয়ার পাঁয়তারা করছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। অথচ কয়েকদিন আগে রাজশাহী ও নাটোর সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিজ্ঞতা থাকায় উক্ত সুনামধন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একাধিক কাজ পেয়েছে। সেখানে সৈকত এন্টারপ্রাইজ অংশগ্রহণ করেও যোগ্যতা না থাকায় কোন কাজ পায়নি। সারাদেশে কোথাও কাজ না পেলেও কুষ্টিয়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আতাঁত থাকায় প্রকৌশলী তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে কাজ পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন সৈকত এন্টারপ্রাইজকে। ইতিপূর্বে দেখা গেছে দেশের বড় বড় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ায় কাজ পায় না। কারণ কথিত আছে মুকুলের সঙ্গে সখ্যতার কারণে সৈকত এন্টারপ্রাইজের অলিখিত মালিক নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম নিজেই। দেশের বড় বড় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কুষ্টিয়ার টেন্ডারে অংশ গ্রহণ না করার জন্য চরমপন্থী নেতা মুকুলের নামে হুমকি দিয়ে থাকেন। জাহিদুল ইসলাম সম্প্রতি মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন কালেও ৪টি টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করে মা এন্টারপ্রাইজ ৪টি কাজেই কোয়ালিফাই হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম নিজ দায়িত্বে মা এন্টারপ্রাইজের মালিককে অনুরোধ করে একটি কাজ দিয়ে বাঁকি ৩টি সৈকত এন্টারপ্রাইজের নামে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামকে মুঠোফোনে তার বক্তব্য জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে বলেন, ঠিকাদার বাদে অন্য কাউকে তথ্য দিতে বাধ্য নই। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও প্রশ্ন করেন আপনি কি টেন্ডার দিয়েছেন? এই বলে তিনি মুঠো ফোনের সংযোগ কেটে দেন। নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের বদলী সহ টেন্ডারবাজির সাথে জড়িত থাকার দায়ে তার বিচার দাবী করেছেন।