ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়া মহিলা অধিদপ্তর থেকে মাতৃকালীন ভাতা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব, দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য এই ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিটি গর্ভবতী নারী প্রতিমাসে ৮০০ টাকা করে ৩ বছর মেয়াদে মোট ২৮ হাজার ৮শত টাকা পাবেন। কুষ্টিয়া সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে, বাংলাদেশের কোন জেলাতে এই ব্যবস্থা না থাকলেও কুষ্টিয়াতে চলতি দায়িত্বে উপ-পরিচালক হিসাবে নূরে সফুরা ফেরদৌস যোগদানের পর এক নতুন ফরমান জারি করেছেন। সারা বাংলাদেশে মহিলা অধিদপ্তরে ভুক্তভোগীরা আবেদন করেন এবং সেটি যাচাই বাছাই করে অগ্রগামী করা হয়। অথচ এবার কুষ্টিয়া মহিলা অধিদপ্তরের চলতি দায়িত্বের উপ-পরিচালক পৌরসভার প্রতিটি কাউন্সিলরকে ১৪টি করে ভাগ করে দিয়েছে। এতে পৌর এলাকার বর্ধিত ওয়ার্ডে স্বাভাবিকভাবে গরীব এবং দুঃস্থদের সংখ্যা বেশি। শহরের প্রাণকেন্দ্রের ওয়ার্ডগুলিতে তেমন অস্বচ্ছল এবং অসহায় গর্ভবতী নারীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। এক্ষেত্রে অসহায় দুঃস্থদের চেয়ে দালান বাড়ির স্বচ্ছল গর্ভবতী নারীদের এই তালিকায় দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল যারা তালিকা প্রেরণ করেছে তাদের নিয়েই যাচাই বাছাই হতে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড থেকে ১৪জন করে গর্ভবতী নারীদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মহিলা অধিদপ্তরে তালিকা পাঠানোর সময়সীমা শেষ হয়েছে। আগামীকাল ১৪জনের মধ্যে কি যাচাই বাছাই হবে? যেখানে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ১৪টি নাম পাঠাতে হবে সেখানে যদি আরও বেশি সংখ্যক নাম প্রেরণ করা হতো তাহলে তার মধ্যথেকে যাচাই বাছাই করে ১৪জন চূড়ান্ত করা যেতো! জেলা কমিটিকে বাদ দিয়ে যাচাই বাছাইয়ের নামে আগামীকাল নাকট মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে এই শহরে। এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, ১৪ জনের নাম চেয়েছে, আমরা ১৪ জনের নামই পাঠিয়েছি। এরমধ্যে আবার কি যাচাই বাছাই করবো। আমিই তালিকা পাঠিয়েছি আবার আমিই কি বাদ দিতে পারি? উপজেলা কর্মকর্তা পদমর্যাদার নূরে সফুরা ফেরদৌস রাজবাড়ী থেকে চলতি দায়িত্ব নিয়ে কুষ্টিয়ায় উপ-পরিচালক হিসাবে যোগদান করেছেন। তার দেবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক। তার হাত ধরেই তিনি এই দায়িত্ব পেয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে। কুষ্টিয়ার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, আওয়ামীলীগ বিরোধী পরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার কারণে চলতি দায়িত্বের উপ-পরিচালক আওয়ামী পরিবারের বিরুদ্ধে তার প্রচন্ড ক্ষোভ। বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে বর্তমান সরকার কুষ্টিয়া জেলায় ৪২ জন কর্মহীন নারীদের জন্য ৪২টি সেলাই মেশিন প্রদান করে। অথচ চলতি উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার এক নারী ও কুষ্টিয়া জামায়াত পরিবারের সদস্যদের নামে সেলাই মেশিন বরাদ্দ করায় এখনও কিছু সেলাই মেশিন বিতরন করতে ব্যর্থ হয়েছে। জরুরী আইনের সময় তার স্বামী ও শ্বশুর মিষ্টির প্যাকেটে অসংখ্য বুলেট বহনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয় এবং তাদের দোকান থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেন। তার শ্বশুর কুখ্যাত স্বাধীনতা বিরোধী চিহ্নিত রাজাকার হিসাবে পরিচিতি রয়েছে এই অঞ্চলে। জনমনে প্রশ্ন, আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী এমন একটি পরিবারের পুত্রবধূ কি ভাবে বর্তমান সরকারের মহিলা অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা কতটা প্রভাব খাটালে উপ-পরিচালকের চলতি দায়িত্ব পালন করতে পারেন?