ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ায় উত্তর লাহীনি পাড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে হাফিজুর রহমান মুন্নার পরিবারের উপর প্রতিবেশীর হামলায় মুন্না সহ-৩ জন আহত হয়েছে। এই নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।অভিযোগকারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন একই এলাকার বিবাদী ১। মোঃ জিল্লু পিতা- মৃত আমির আলী মালিথা,২।সাগরী খাতুন স্বামীঃ মোঃ জিল্লু, ৩।সীমা খাতুন স্বামীঃ মোঃ ইসলাম, ৪। মোঃ ইসলাম পিতা- মৃত আমির মালিথা,৫।মোছাঃখোদেজা স্বামী মোঃআনিচ,৬।মোঃআকিব পিতাঃ মোঃ আনিচ,৭।মোছাঃ মরিয়ম স্বামী মৃত আমির আলী মালিথা, ৮।শিহাব পিতা- মোঃজিল্লু সর্ব সাং- উত্তর লাহীনি পোস্ট — মোহিনীমিলস, থানা ও জেলা কুষ্টিয়া। উক্ত বিবাদীদের বাড়ি আমার বাড়ির সাথে যাহা আমার এবং বিবাদীদের বাড়ি হইতে বাহির হওয়ার চলাচলের রাস্তা আমি ৫.৫০ ( সারে ৫ ফিট) দিয়া থাকি এবং বিবাদীগণ এবং বিবাদীগণ ১. ৫০ ( দের ফিট) দেয় মোট ৭ ফিট রাস্তা। অতঃপর আমার বাড়ির বিদুৎ এর লাইন দূরে থাকায় রাস্তার উত্তরে ১টি বাশ দিয়া বিদুৎ সার্ভিস লাইন নিয়া থাকি। অতঃপর প্রায় প্রায় উক্ত বিবাদীগণ আমাদের বিদুৎ এর বাশ তুলে ফেলে দেয় তাতে করে আমার বাড়ী বিদুৎ থাকেনা। এই ব্যাপারে উক্ত বিবাদীকে ইতিপূর্বে কয়েকবার অনুরোধের সহিত বলা হয় যেন বাশ না তুলার জন্য। কিন্তু কথা না রেখে উল্টা বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে বাশ তুলে ফেলে দেয়। তাতে করে যেমন বিদ্যুৎ থাকেনা অন্যদিকে বিদ্যুৎ দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবণা থাকে। যাহা অদ্য ১৮/০৯/২০২১ ইং তারিখে সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটনার সময় বিবাদীগন পূর্ব একই রুপে বাশ তুলে ফেলে দিলে আমার স্ত্রী মোছাঃ শামসুন্নাহার ববি কারন জানতে চাইলে উক্ত বিবাদীগণ পূর্ব প্রস্তুতি মুলক আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাশের লাঠি দিয়া এলোপাতালী মারধর করে এছাড়াও ০১নং বিবাদী আমার স্ত্রীকে বাশের লাঠি দিয়া মাথায় আঘাত করে কালশিরা রক্তাক্ত জখম করে এবং ২ ও ৩ নং আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে, তখন আমার ছেলে মোঃ ঈমন আমার স্ত্রীকে ০১ নং বিবাদী অন্য বিবাদীকে হুকুম দিয়া বলে যে আমার ছেলেকে হত্যার করার জন্য তখন ২,৪ও ৫ নং বিবাদী আমার ছেলেকে কাঠের বাটাম এবং লোহার রড দিয়া এলোপাতাড়ি মারধর করে নিলাফুলা জখম করে। অতঃপর আমি দৌড় দিয়া আমার স্ত্রী ও সন্তানকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে ১নং বিবাদী আমাকে শ্বাসরোধ করে এবং ৬ ও ৮ নং বিবাদী আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে কালশিরা জখম করে। এছাড়াও ৭ নং বিবাদী আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে এবং আমার স্ত্রীর গলায় থাকা ১ টি স্বর্ণের চেইন ২ নং বিবাদী ছিনিয়ে নেয়। যার ওজন ১২ আনা বাজার মূল্য ৬০০০০হাজার টাকা। পরবর্তীতে আমার শোর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসিয়া বিবাদীদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে পথচারী অটো যোগে আমাকে স্ত্রীকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়া আসলে আঘাত গুরুতর হওয়ায় বর্তমানে আমার স্ত্রী কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তিরত আছে। বর্তমানে এখনও বিবাদীগণ আমাকে সহ আমার পরিবারকে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে।