ডন ডেস্ক:-
কেমিস্ট বা ল্যাব ছাড়াই সাবানের পাউডার, ইউরিয়া সারসহ বিভিন্ন দ্রব্য দিয়ে তৈরি হচ্ছিল দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের স্কিন কেয়ার নকল প্রসাধনী সামগ্রী। আবার তা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য বাজারজাত করা হচ্ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় র্যাব-১ অভিযান চালিয়ে নকল এসব প্রসাধনী তৈরির কারখানার সন্ধান পায় এলিট ফোর্স র্যাব। প্রায় চার ঘণ্টার অভিযানে জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী সামগ্রী। র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাসা নং-৮, রোড নং-৪, ব্লক-ডি, মিরপুর-৬ এ অবস্থিত ভবনে একটি নকল ও ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে পাকিস্তানের নুর হোয়াইটিং ক্রিম, ইলোরা হোয়াইটিং ক্রিম, স্ক্রিন গ্লো ক্রিম, ভারতের ফেস মি বিউটি ক্রিম, ফেয়ার লুক ক্রিম, লোটাস হোয়াইটিং ক্রিম, ফোর কে প্লাস হোয়াইটিং ক্রিম এবং ঐতুবৃ স্কিন ক্রিম তৈরি হচ্ছিল। লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, এসব প্রসাধনী মানুষ ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে থাকে। যা তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে মোম, ভ্যাজলিন, সাবানের পাউডার, ইউরিয়া সার ও সুগন্ধি ব্যবহার করা হচ্ছিল। পরে সেগুলো ব্লেন্ডার করে বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে মোড়কজাত বা প্যাকেটিং করে দেশি-বিদেশি পণ্য বলে চকবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করছিল। র্যাব জানায়, কারখানার মালিক আনিছুর রহমান, পিতা-আঃ জলিল শেখ, তার বিরুদ্ধে আগেও ঐতুবৃ স্কিন ক্রিমের মোড়ক হুবহু নকল করে ভুয়া কোম্পানি খোলার অপরাধে কুষ্টিয়া আদালতে তিনটি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সকল অভিযোগ স্বীকার করে নেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিএসটিআই মামলা করবে বলে জানা যায়।