কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম:-
আজ কলকাতার ভবানীপুর বিধান সভা কেন্দ্রের তৃনমূল দলের জয়ী প্রার্থী এবং তৃনমূল দলের সুপ্রিমো এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুর্শিদাবাদ জেলার শমসেরগন্জের বিধায়ক জনাব আমিরুল ইসলাম ও জঙ্গীপুর বিধান সভা কেন্দ্রের বিধায়ক জনাব জাকির হোসেন কে বিধান সভা ভবনের মধ্যে শপথ গ্রহণ করান পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ ধনকড়। যা এর আগে প্রথা অনুযায়ী বিধান সভার সদস্যদের শপথ প্রদান করান বিধান সভার অধ্যাপক। কিন্তু সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন লাভ করতে হত। কিন্তু ইদানীং পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন মন্ত্রী ও বিধান সভার অধ্যাপক সাথে সাঙবিধানিক বিষয়ে মতবিরোধ চলছিল তার জেরে প্রকৃত ক্ষমতা যে পশ্চিম বাংলার রাজ্যপালের দেওয়া হয়েছে তা এদিন প্রমাণ করলেন। পশ্চিম বাংলার বিধান সভার অধ্যাপক শ্রী বিমান বন্দোপাধ্যায় কে অন্ধকারে রেখে পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ ধনকড় বুঝিয়ে দিলেন রাজভবনের দেওয়া ক্ষমতা অপব্যবহার করেছে বিধানসভার অধ্যক্ষ। কিছু দিন আগে নারদা চিটফান্ড মামলায় সিবিআই পশ্চিম বাংলার রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে পশ্চিম বাংলার বিধান সভার সদস্য ও মন্ত্রী জনাব ফিরাদ ববি হাকিম ও মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মদন মিত্র ও সাবেক কলকাতা পৌরসভার মেয়র শ্রী শোভন দেব চট্র্যোপাধ্যায় কে গ্রেফতার করা কেন্দ্র করে বিধান সভার সাথে রাজভবনের তিব্র আইনি লড়াই শুরু হয়। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল কোন বিধায়ক ও মন্ত্রী কে ধরতে গেলে সেক্ষেত্রে পশ্চিম বাংলার রাজ্যপালের অনুমোদন যথেষ্ট তার প্রমাণ করে দিলেন। এতদিন পশ্চিম বাংলার বিধান সভার অধ্যাপক নিজের ক্ষমতা বলে বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করাতেন। সেই অধিকার আজ কেড়ে নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তিনি বিধায়কদের শপথ গ্রহণ পাঠ করানো যে তার অধিকার আর সেই অধিকার যে তিনি বিধান সভার অধ্যাপক কে দিয়েছেন তার প্রমাণ করে দিলেন।আজকের এই ঘটনার পর পশ্চিম বাংলার বিধান সভার অধ্যাপক শ্রী বিমান বিমান বন্দোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন।