কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম:-
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চাচল থানা এলাকার একটি আস্টম শ্রেণীর একটি ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার একটি যুবক গত, ২০২১,সালের, ৮,ই, জানুয়ারি। নাবালিকা মেয়েটির বাড়ি মালদহের চাচল থানার, ১,নাম্বার, ব্লকের মখদুম পুর গ্রামে। এই নাবালিকা ইস্কুলে পড়তে যাওয়ার সময় পরিচিত হয় একটি যুবকের। পরে তার সাথে প্রেম ও ভালোবাসা জন্ম নেয় সেই সুযোগে ঐ যুবক নাবালিকাকে নিয়ে ভারতের কোচবিহার জেলার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলা এলাকায় নিয়ে যায়। এই নিখোঁজ হওয়ার পর নাবিলার আটোচালক বাবা ও মা চাচল থানায় গিয়ে নিখোঁজ অভিযোগ করেন। পশ্চিম বাংলার গোয়েন্দা পুলিশ ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা কে সব ঘটনা জানান সেই মতো তদন্ত শুরু হয়। মেয়েটি পাচার হয়ে যাবার সময় যে পদ দিয়ে তারা বাংলাদেশের মধ্যে প্রবেশ করেছিল তার লোকেশন পেয়ে যায়। তাতে দেখা যায় যে নাবালিকা কে নিয়ে বাংলাদেশের ঐ যুবক চাচল হয়ে পশ্চিম বাংলার কোচবিহার জেলার ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম এলাকায় নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে নাবালিকা জানতে পারেন যে যে যুবক তাকে নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন তার এর আগে সে বিবাহিত। এই ঘটনা জানান তার পরিবারের সদস্যদের। পশ্চিম বাংলার কলকাতা অবস্থিত বাংলাদেশের উপদূতবাসের সদস্যদের সব খবর জানানো হয়। শুরু হয় নাবালিকা কে উদ্ধার করতে তল্লাশি। অবশেষে গতকাল বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম থেকে নাবালিকা কে উদ্ধার করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা ও পুলিশ বাহিনী। আজ নাবালিকা কে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত বেনাপোল আন্তর্জাতিক সীমান্তে পৌঁছে দিতে আসেন বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী সদস্যরা। আজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পক্ষ থেকে চাচল থানার এ এস আই জনাব ওবাইদুর রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে চাচল থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে একপ্রস্ত জিগাস বাদ করা হয়। আজ তাকে মালদহের আদালতে তোলা হবে গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য। এই উদ্ধার কাজে সাহায্য করেন চাচল থানার আই সি শ্রী সুকুমার রায় ও জেলা প্রশাসক এবং বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এবং ভারতের কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের উপ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল সেবার পশ্চিম বাংলার গভীর সুন্দর বন এলাকায় সেবার সুন্দর বন এলাকার রাঙ্গাবেলিয়া উচ্ছ মাধ্যমিক হাই স্কুল এর ছাত্রী বাড়ি গোসাবা থানার অন্তর্গত জতিরাণ পুরের আস্টম শ্রেণীর ছাত্রী কে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় বাংলাদেশের পাবনা জেলার একটি যুবক। সেই সময় গোসাবা থানার আই সি শ্রী সুরির ঢালি ও বারুইপুর জেলার এ এস পি শ্রী অরজিৎ সিনহা আই পি এস এবং ডি আই বি পুলিশ সুপার শ্রী শান্তি দেব নেতৃত্বে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা সাথে যোগাযোগ করে শ্রী মতি বৈশাখী কান্দারা কে উদ্ধার করা হয়। সেই সময় এই কাজে সাহায্য করছিল বাংলাদেশের মানবাধিকার ম্যাগাজিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব রিয়াজ উদ্দিন সাহেব এবং বাংলাদেশের শিশু নির্যাতন বিরোধী কমিশন এবং বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যা শ্রী মতি সালমা আলী এবং কলকাতার বাংলাদেশের উপ দূতাবাসের কাউন্সিলর জনাব জামাল উদ্দিন সাহেবের সাহায্য নিয়ে উদ্ধার করে ভারতের পশ্চিম বাংলার বারুইপুর জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া। এই কেসের উদ্ধার কারী অফিসার ও আয় ও ছিলেন গোসাবা থানার আই সি শ্রী সুবির ঢালী। গত কাল বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা নাবালিকা কে দেখতে পেয়ে চাচল থানার সাধারণ মানুষের খুশির বন্যা বইছে।